চৌগাছার বেড়গোবিন্দপুর বাওড় পাড়ে সড়ক ভাঙনে চলাচলে ভোগান্তি

0

মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) ॥ যশোরের চৌগাছার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সৃষ্টি হয়েছে ভাঙন। সড়ক পাকারণের সময় মাটির নিচে রেখে দেয়া কালভার্টই ভাঙনের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। দ্রুত ভাঙন মেরামত করা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা এলাকাবাসীর।
বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ের অফিস থেকে মাত্র ২শ গজ দূরে পাকা সড়কে পাশে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ এক ভাঙন। এক মাসের অধিক সময় ধরে ধীরে ধীরে মাটি ধসে বাওড়ে গিয়ে পড়ছে। দিন যত যাচ্ছে ততই বাড়ছে ভাঙনের পরিধি। বর্তমানে পাকা পিচ সড়কের নিচে হতে মাটি ধসে পড়তে শুরু করেছে। কিন্তু পিচ সড়কটি ঠাই দাড়িয়ে আছে। মাটি ধসে পড়ায় যে কোন সময় মূল পাকা সড়কও ধসে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে বাওড়ের অফিস সংলগ্নে একটি পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। যার নামকরণ করা হয়েছে শহীদ মশিউর রহমান ইকোপার্ক। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন হতে এ পর্যন্ত অসংখ্য দর্শনার্থী এখানে ঘুরতে আসছেন। ভাঙনের কারণে দর্শনার্থীরাও আছেন ঝুঁকিতে।
গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, পড়ন্ত বিকেলে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী পার্কে ঘুরতে এসেছেন। যার অধিকাংশই শিশু ও নারী। তারা আপন মনে বাওড়ের পানিতে নৌকায় ঘুরছেন আবার অনেকে সড়কে হাঁটাহাটি করছেন। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই ভাঙন স্থানটি জঙ্গলে ঢাকা থাকায় দেখতে পারছেন না।
পার্কে ঘুরতে আসা কামরুজ্জামান, মহিদুল ইসলাম, উম্মে সালমা বলেন, ভাঙনটি বেশ ভয়ানক। দ্রুত মেরামত করা না হলে ভয়াবহ এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
ভাদড়া গ্রামের আক্তারুজ্জামান তুহিন, ধুলিয়ানী গ্রামের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, আব্দুল আলিম বলেন, আমাদের উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র সড়ক হচ্ছে বেড়গোবিন্দপুর বাওড় পাড়ের সড়ক। এক সময় সড়কটি বেশ ভাঙ্গাচোরা ছিল। অনেক কষ্টে চলাচল করেছি। এখন সড়কটি চলাচলের উপযোগী হলেও বাওড় পাড়ে যে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে তাতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পাশাপাশি সড়কটি নষ্ট হলে প্রভাব পড়বে এ অঞ্চলে সব শ্রেণি- পেশার মানুষের ওপর। তাই দ্রুতই ভাঙন মেরামতে দরকার।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, বেশ আগেই আমি সরেজমিনে এটি দেখে এসেছি এবং উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেছি। কিন্তু কাজ শুরু না করার কোন কারণ পাচ্ছিনা।
উপজেলা প্রকৌশলী রিসায়াত ইমতিয়াজ বলেন, ঈদের আগেই এমন একটি খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছি। তারা দেখে এসেছেন ।আশা করছি আজ- কালের মধ্যেই ভাঙন স্থান মেরামতের কাজ শুরু হবে।