বেনাপোলে নির্বাচনী সহিংসতায় ট্রাকের ১৩ কর্মীর নামে মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরের বেনাপোলে সহিংসতায় চার জন আহতের ঘটনায় গত রোববার দুপুরে পোর্ট থানায় মামলা হয়েছে। ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন নৌকা প্রতীকের কর্মী আবু সাঈদ অনিক। তিনি বেনাপোল কলেজ পাড়ার আবু তাহেরের ছেলে।
আসামিরা হলেন, বেনাপোল কলেজ পাড়ার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে ইকবাল (২৫), বাবলুর ছেলে নাসির (৩২) ও ইমরান (২৭), মুকুলের ছেলে জীম (২২) ও ফয়সাল (৩০), মুজিবরের ছেলে মামুন (৩৮), মৃত আব্দুল মতিন টেনার ছেলে হাসান (৩৩) ও মিজানুর রহমান (৪৫), মৃত মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে আব্দুল ওদুদ দুদু (৬৫), নারায়ণপুর গ্রামের কালামের ছেলে সোহেল (৩০), মৃত বাবুর ছেলে লিটন (২৮), কদম আলীর ছেলে বাদশা (২০) ও নারায়ণপুর কেলেরকান্দা এলাকার খোরশেদের ছেলে জিল্লুর রহমান (২৬)। আসামিরা সকলেই ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল আলমের কর্মী।
আবু সাঈদ অনিক মামলায় উল্লেখ করেছেন, গত রোববার সংসদ নির্বাচনে তিনিসহ তার সঙ্গীরা বেনাপোলের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটারদের ভোটের স্লিপ দেওয়ার কাজে সহযোগিতা করেন। এ নিয়ে আসামিদের সাথে তাদের শত্রুতার সৃষ্টি হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বেনাপোলের ভান্ডারির মোড়ে আবু সাঈদ অনিকসহ তার সঙ্গী শাওন হোসেন, উজ্জল হোসেন ও জুয়েল রানা ভোটারদের ভোটের স্লিপ দেওয়ার কাজ করছিলেন। এ সময় উল্লিখিত আসামিরা সেখানে এসে তাদের ওপর চড়াও হন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তখন আবু সাঈদ অনিক ও সঙ্গীরা গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে আসামি আব্দুল ওদুদ দুদুর হুকুমে অন্য আসামিরা হাতুড়ি পেটা ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এছাড়া আবু সাঈদ অনিকের সঙ্গী জুয়েল রানাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এরই মধ্যে আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন আহত চার জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।