নৌকায় ভোট চাওয়া আচরণবিধি লঙ্ঘন: রব

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তফসিল ঘোষণার পূর্বে কোনো নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো দল বা ব্যক্তি অংশগ্রহণ করতে পারে না। ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮-এর ধারা ১২তে বলা হয়েছে- ‘কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা উহার কোনো মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্যকোনো ব্যক্তি ভোটগ্রহণের জন্যে নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করিতে পারিবেন না।
কিন্তু সরকার প্রধান বেশ কয়েকটি জনসভায় বিশেষ করে গতকাল (শনিবার) কাওলার সিভিল এভিয়েশন মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে বলেছেন- নৌকা মার্কায় ভোট দেন, আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেন, আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা চাই আপনারা সবাই কি নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন? অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পূর্বেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন। এমনকী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
রোববার এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, জনসভায় এবং ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সারাদেশে জনগণের কাছে নির্বাচনী প্রচারের এসব বক্তব্য- নির্বাচন কমিশনের প্রণীত সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
সরকারি দলের আচরণবিধি লঙ্ঘনের মাধ্যমে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার নির্বাচন কমিশনের তথাকথিত অঙ্গীকার ফাঁকা বুলির নামান্তর মাত্র।
বিধিমালার বিধান লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ধারা- ১৮-তে বলা হয়েছে-
(১) কোনো প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন পূর্ব সময়ে এই বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে অনধিক ছয়মাসের কারাদ- অথবা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা দণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
(২) কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচন পূর্ব সময়ে এই বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করিলে অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে কী ভূমিকা গ্রহণ করছে, তা জাতি প্রত্যক্ষ করতে পারবে।