বিএনপি ও জামায়াতের ৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের, আটক ৯

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে বিএনপি ও জামায়াতের ৩৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার কোতয়ালি থানায় কথিত নাশকতার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাইদুর রহমান মামলাটি দায়ের করেছেন। পুলিশ এই মামলায় ৯ জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে ৮ জন জামায়াতের কর্মী। অপর একজন নিজেকে আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে দাবি করেছেন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার মুনসেফপুর গ্রামের মাওলানা মো. আশরাফ আলী, শাখারিগাতী গ্রামের মাওলানা রইচ উদ্দিন, কেফায়েতনগর গ্রামের আব্দুল মাজেদ বিশ্বাস, তালবাড়িয়া গ্রামের ওলিয়ার রহমান, আবাদ কচুয়া গ্রামের আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, বড় মেঘলা গ্রামের ওবায়দুর রহমান, মো. সেলিম রেজা, মো. রাজু আহমেদ, রূপদিয়ার আবু জাফর মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, ঘুরুলিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন লাল্টু, তালবাড়িয়া চিনেরডাঙ্গা পাড়ার কবির হোসেন, শহরের চাঁচড়া রায়পাড়ার জয়নাল হোসেন, শামসুল আলম ভূঁইয়া, সদর উপজেলার চাঁচড়া পশ্চিম পাড়ার আবু হানিফ, মন্ডলগাতি গ্রামের আব্দুল জলিল, ভাতুড়িয়া দাড়িপাড়ার হায়দার আলী, ভাতুড়িয়ার ইমান আলী, জিরাট গ্রামের জলিল গোলদার, নরেন্দ্রপুর বেলতলা এলাকার সামাদ গাজী, ভাতুড়িয়া পশ্চিম পাড়ার শহিদুল ইসলাম মনা, পুলেরহাট বেড়বাড়ির আব্দুল মান্নান মাস্টার, তফসীডাঙ্গা মাদ্রাসা পাড়ার রফিকুল ইসলাম, সাড়াপোলের ইকবাল হোসেন, করিচিয়া গ্রামের আব্দুস সালা, আব্দুস সামাদ, আনোয়ার হোসেন, সাড়াপোলের ফজর সরদার, নুর ইসলাম, ইকরামুল হোসেন, মো. মিন্টু, বড় মেঘলা গ্রামের মাসুম বিল্লাহ, রবিউল সরদার, মহিউল ইসলাম, ছোট মেঘলা গ্রামের ফরিদ আহমেদ, ভাতুড়িয়া গ্রামের ফারুক হোসেন, ভাতুড়িয়া নারায়ণপুরের রুসাদ আলী, বানিয়াবহু গ্রামের হাবিবুর রহমান ও আলী হোসেন।
এর মধ্যে মাওলানা মো. আশরাফ আলী, মাওলানা রইচ উদ্দিন, আব্দুল মাজেদ বিশ্বাস, ওলিয়ার রহমান, আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, ওবায়দুর রহমান, মো. সেলিম রেজা, মো. রাজু আহমেদ ও আবু জাফর মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।
স্বজনরা জানান, আটক আবু জাফর মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান জেলা (পূর্ব) জামায়াতের সেক্রেটারি। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তিনি রূপদিয়াস্থ জিরাট মাদাসায় পরীক্ষা কেন্দ্রে সচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় পুলিশ ওই মাদ্রাসায় গিয়ে কর্মরত অবস্থায় তাকে ধরে নিয়ে আসে।
জামায়াত নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, গত সোমবার রাতে পুলিশ তাদের আরও ৭ কর্মীকে বাড়ি থেকে ধরে যায়। কোনো কারণ ছাাড়াই পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে সাজানো নাশকতার মামলার আসামি বানিয়েছে। এছাড়া একই রাতে শহরের নীলগঞ্জে জেলা জামায়াতের আমীর গোলাম রসুলের বাড়িতে চল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।
আটকদের মধ্যে আব্দুস সামাদ বিশ্বাস জানিয়েছেন, তিনি বডি মিস্ত্রির কাজ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক। মামা আব্দুস সাত্তারের সাথে তার জায়গা জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। এ কারণে তার মামা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে তাকে নাশকতার মামলার আসামি বানিয়েছেন।
মামলার বাদী চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাইদুর রহমান মামলায় দাবি করেছেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে সদর উপজেলার মন্ডলগাতি মাদ্রাসা রোড সংযোগ ৩ রাস্তার মোড়ে কতিপয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য অবস্থান করছিলেন। এ খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে উল্লিখিত ৯ জনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ সেখান থেকে ৪টি ককটেল ও লাঠিসোটা উদ্ধার করে।