জীবননগরে অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ

0

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা॥ চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরের গাছ অবৈধভাবে কেটে ফলের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাটা গাছ জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ।
অভিযোগে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম ও প্রধান শিক্ষক মো. সাইদুর রহমান মিলে বিদ্যালয়ের নিজস্ব জমিতে থাকা ৩৭টি মেহগনি গাছ অবৈধভাবে কেটে বিক্রির পাঁয়তারা করছিলেন। জব্দ করা গাছগুলো রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা তাহাজ্জত হোসেনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো.জাহাঙ্গীর আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। ৫ কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, রায়পুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব ১০ কাঠা জমিতে ৩৭টি মেহগনি গাছ ছিলো। ওই গাছগুলোর ওপর নজর পড়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো.জাহাঙ্গীর আলম ও প্রধান শিক্ষক মো.সাইদুর রহমানের। তারা দুজন মিলে গত ঈদের ছুটির ভেতর বিক্রির উদ্দেশ্যে গোপনে গাছগুলো কাটেন। ঈদের ৩ দিন আগে গাছগুলো কাটার সময় গ্রামবাসী বাধা দেয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গ্রামবাসী জানান, অবৈধভাবে বিক্রির উদ্দেশ্যে গাছগুলো কাটা হয়েছিল। বিদ্যালয় চত্বরের গাছ হওয়ার কারণে ওগুলো বিক্রি করতে পারেনি। এ ঘটনায় গ্রামবাসী চরম ক্ষুব্ধ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.সাইদুর রহমান বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে শুধু একটা রেজুলেশন করা হয়েছে। বিধি মোতাবেক অনুমোদন ছাড়া গাছ কাটতে পারেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিদ্যালয়ের ফার্নিচার তৈরির জন্যে রেজুলেশন করে গাছগুলো কাটা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ বলেন, কোনো বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটতে হলে প্রথমে নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ একটা রেজুলেশন করবে। এরপর ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটা আবেদন করবেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেওয়ার পর ওই কমিটি নিয়ম অনুযায়ী গাছ টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অথবা নিলামে বিক্রি করবেন। কিন্তু রায়পুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গাছ কাটার ব্যাপারে নিয়ম -নীতির কোনো তোয়াক্কা করা হয়নি।