কে এম আনিছুর রহমান,কলারোয়া(সাতক্ষীরা) ॥সাতক্ষীরার কলারোয়া হাসপাতালে হঠাৎ করেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গত দুইদিনে হাসপাতালে ২৫ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। অন্যদিকে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের একটি ওয়র্ডের সম্পূটাকে ডায়রিয়া ওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ চিকিৎসাপত্র নিয়ে বাড়িতে রয়েছেন। সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডাক্তারের চেম্বারে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, ডায়রিয়ার জন্যে আলাদা ওয়ার্ড করা হয়েছে। দোতলার দুইটি ওয়ার্ডে অন্যান্য রোগীর পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ওয়ার্ডে বেড খালি না থাকলেও রোগীদের ফ্লোরেও তীব্র গরমের মধ্যে চিকিৎসা দিতে দেখা গেছে।
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ শামিমা জানান, ঈদের পরের থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২য় তলার দুটি ওয়ার্ডে সব শয্যায় রোগী ভর্তি আছে। এমনকি ফ্লোরেও রোগীও রয়েছে।
উপজেলার কামারালী গ্রামের স্বপ্না বলেন, হঠাৎ রোববার সকাল থেকে পেটের ব্যথা ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। হাসপাতালে একদিন ভর্তি থেকে পরামর্শ নিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছি। আমার বড় বোনও অসুস্থ হয়ে সোমবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে স্যালাইন ও চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরম ও রোজার পর হাই প্রোটিন খাওয়ার জন্যে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়তে পারে। আমরা রোগীদেরকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি সকলকে বাসি, পচা ও ভাজিপোড়া খাবার পরিহার করার পরামর্শ প্রদান করেন।