স্টাফ রিপোর্টার ॥ রমজানে দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও মুনাফাখোরদের দৌরাত্ম্য বন্ধ ও তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনাসহ ৫ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ যশোর জেলা কমিটি। বুধবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলসহ সংগঠনের কয়েকশ নেতা-কর্মী যশোর কালেক্টরেট ভবনে গিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দেশে চাল, ডাল, মাছ, মাংস, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বহন করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ও মুনাফাখোর পরিকল্পিতভাবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এসব জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। স্মারকলিপিতে দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণে এসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে ৫ দফা সুনির্দিষ্ট দাবি উত্থাপন করা হয়।
৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, অবিলম্বে চাল, ডাল, তেল, জ্বালানি, বিদ্যুৎসহ যাবতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও মুনাফাখোরদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। গ্রাম ও শহরের শ্রমজীবী, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যে স্বল্পমূল্যে চাল, ডাল, আটাসহ যাবতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওয়ার্ডভিত্তিক রেশনিক ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করতে হবে। জ্বালানি ও বিদ্যুতের বর্ধিত বর্ধিত দাম প্রত্যাহার ও সমন্বয়ের নামে প্রতি মাসে মূল্যবৃদ্ধি বন্ধ করা ও সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট রোগী দেখা জনস্বার্থ পরিপন্থী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
স্মারকলিপি প্রদানের আগে জেলা কালেক্টরেট চত্বরে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তসলিমুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক ইসারুল হক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান ভিটু, জেলা কমিটির সদস্য সখিনা বেগম দিপ্তী, কামাল হাসান পলাশ, বিপুল বিশ্বাস প্রমুখ। এসময় সেখানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খানের কাছে স্মারকলিপি তুলে দেন।