বাঘারপাড়ায় আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি

0

 

বাঘারপাড়া (যশোর) সংবাদদাতা ॥ আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি বাঘারপাড়া খাদ্য অফিস। চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৮২ভাগ অর্জিত হলেও ধান সংগ্রহে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে খাদ্য বিভাগ। খাদ্য গুদামের অবস্থান দূরে হওয়া ও ধানের সরকারি ক্রয় মূল্য থেকে বাজার মূল্য বেশি হওয়াকে দুষছেন খাদ্য অফিস।
উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের আমন মৌসুমে উপজেলা খাদ্য গুদামে কেজি প্রতি ২৮টাকা দরে ৫৯৯ মেট্রিক টন ধান ও কেজি প্রতি ৪২টাকা দরে ৪১৩ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে সরকার। এ ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান চলে ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত। যেখানে ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে, প্রান্তিক কৃষকরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে তাদের উৎপাদিত ধান খাদ্যগুদামে সরাসরি বিক্রয় করবে। চালের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, উপজেলার চুক্তিবদ্ধ সচল মিল মালিকরা তাদের বরাদ্দকৃত চাল গুদামে সরবরাহ করবে।
এবছর দেখা গেছে, কোনো কৃষক খাদ্যগুদামে ধান বিক্রয় না করায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ভাগ শূন্য। অন্যদিকে চালের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৩৪০ মেট্রিক টনের কাছাকাছি। এখানে চুক্তিবদ্ধ মিলারের সংখ্যা আট জন হলেও মাত্র চারজন মিলার চাল সরবরাহ করেছে।
এ বিষয়ে জামদিয়া ইউনিয়নের ঘোড়ানাছ গ্রামের কৃষক মলয় লষ্কর বলেন, ‘আমার বাড়ি থেকে উপজেলার শেষ প্রান্তে খাদ্যগুদামের দূরত্ব প্রায় ৩০কিলোমটিার। পরিবহন ব্যয় বেশি হওয়ায় আমরা সরকারকে ধান দিতে পারি না। এছাড়া এবার বাজারে ধানের মূল্য বেশি। তাই ও বিষয়ে ভাবিনি।’
উপজেলার মহিরণ গ্রামের কৃষক মুরাদ হোসেন বলেন, ‘যে বছর ধানের সরকারি মূল্য বেশি থাকে সে সময় খাজুরা খাদ্যগুদামে নিয়ে গেলে গুদাম কর্তৃপক্ষ ধান ভেজা বা চিটা আছে বলে নিতে চায় না। আবার ভ্যান খরচ করে ফেরত আসতে হয়। তাই ওইমুখো আর হই না।’
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মিনা খানম কৃষকদের অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে বলেন,‘হাটে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কোনো কৃষক গুদামে ধান সরবারাহ করেনি। তাছাড়া খাদ্যগুদাম উপজেলার এক পাশে হওয়ায় দূরের কৃষকরা সেখানে যেতে চায় না। চুক্তিবদ্ধ মিলাররা সবাই চাল সরবারাহ না করায় চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। যেসকল চুক্তিবদ্ধ মিলার গুদামে চাল সরবরাহ করেনি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলমান আছে।’