নড়াইলের হেচলাগাতিতে সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া

0

নড়াইল অফিস ॥ নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার হেচলাগাতি গ্রামের সোহেল শেখ, তানজীর সর্দার ও তাদের দলীয় লোকজন প্রতিপক্ষ দলীয় লোকজনের বাড়ির আশপাশে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে খুনের হুমকি দেয়ায় ১০টি পরিবারের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। বাড়িতে থাকা মহিলাদের উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করায় এবং তাদেরকে নানারকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় তারা অজানা আতংকে দিন কাটাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লাহুড়িয়া ইউনিয়নের হেচলাগাতি গ্রামের আলী কদর বিশ্বাসের পক্ষীয় সোহেল শেখ, তানজীর সর্দার,আব্দুল্লাহ শেখ,সেলিম মোল্যা,নয়ন শেখ তাদের প্রতিপক্ষ একই গ্রামের বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম, মশিয়ার রহমান শেখ,মোশারফ হোসেন শেখ,জাহিদুল শেখসহ ১০টি পরিবারের সদস্যদের বাড়ির আশপাশে গত ৫দিন যাবত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে এবং খুন-জখমের হুমকি দিচ্ছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে বলে জানান ওই গ্রামের বাসিন্দা আইনাল মোল্যা ও হেমায়েত মোল্যা। এরআগে গত ২০১৮ সালের ৮ মার্চ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হেচলাগাতি গ্রামের বাসিন্দা মশিয়ার রহমান শেখকে খুন করার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষ লোকজন। সোহেল শেখ, তানজীর সর্দার,রজিবুল ইসলাম গ্রামে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটানোর কারণে হত্যাপ্রচেষ্টা, চাঁদাবাজি মামলার আসামি হন। গ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে উভয়পক্ষের আপোষ-মীমাংসায় মামলাগুলো প্রতাহার হওয়ার পর আবার তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।এরা এতটাই বেপরোয়া কেউ ভয়ে এদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পান না। এদের অত্যাচার নির্যাতনে নিরীহ প্রকৃতির লোকজন অতীষ্ট। গত ১১ মার্চ রাতে ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় হেচলাগাতি গ্রামের চার ব্যক্তি আহত হন। এ সময় হামলাকারীরা মশিয়ার রহমানের বাড়ি ভাংচুরের চেষ্টা চালায়।পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ব্যাপারে আলী কদর বিশ্বাস জানান,আমাদের লোকজন এলাকায় শান্তিপ্রিয়ভাবে চলাচল করে আসছে।কারোর বাড়ির আশেপাশে আমাদের লোকজন অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে কিংবা কাউকে খুন-জখমের হুমকি দিচ্ছে এমন খবর আমার জানা নেই। প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন আমাদের বিরুদ্ধে মনগড়া ও মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। লাহুড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক মঞ্জিল রহমান জানান, হেচলাগাতি গ্রামে শান্তিশৃংখলা বজায় রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়। কেউ অশান্তি কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।