আধিপত্যের দ্বন্দ্বে যশোরের বেজপাড়ায় দ্বন্দ্ব সংঘাত প্রায়

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিরোধের জের ধরে যশোর শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর আলোচিত সাহেদ হোসেন নয়ন ও তার সঙ্গী মাসুদুর রহমান মাসুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই এলাকায় এখন উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফের দুই পক্ষের মধ্যে সহিংস ঘটনার আশঙ্কায় এলাকাবাসীও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার একটি সূত্র জানায়, বিগত পৌরসভা নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের প্রার্থী আলোচিত সাহেদ হোসেন নয়নের পক্ষে বেজপাড়া এলাকায় কাজ করেন শরিফুল ইসলাম নামে এক যুবক। তিনিও বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকায় নানা কারণে ব্যাপক আলোচিত। শরিফুল ইসলামের কারণে সাহেদ উর রহমান রনি নামে অপর কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে বেজপাড়া এলাকা থেকে তেমন একটা সুবিধা আদায় করতে পারেননি। এছাড়া নির্বাচনের দিন বেজপাড়া এলাকায় স্বামীর পক্ষে কাজ করার সময় সাহেদ হোসেন নয়নের স্ত্রীকে অপদস্থ করেছিলেন সাহেদ উর রহমান রনির সঙ্গীরা। মূলত এই বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এরই মধ্যে রনির অন্যতম ক্যাডার আলোচিত সন্ত্রাসী ইয়াসিন আরাফাত ওরফে হুজুর ইয়াসিন প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। নির্বাচনে সাহেদ উর রহমান রনির পক্ষে কাজ করেছিলেন সন্ত্রাসী হুজুর ইয়াসিন। এই হত্যাকান্ডের পর নিজ এলাকায় রনির অবস্থান কিছুটা দূর্বল হয়ে পড়ে। এর মধ্যে নয়নের পক্ষ ত্যাগ করে রনির ঘনিষ্ঠ হয় আলোচিত শরিফুল ইসলাম। স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকায় ধূমপান নিয়ে কাউন্সিলর নয়নের ঘনিষ্ঠ অনুচর শান্তকে জসিম নামে এক যুবক মারপিট করে। এর জের ধরে পরে নয়নের সঙ্গীরা জসিমকে মারধর করে। এ ঘটনার পর শনিবার রনি গ্রুপের লোকজন বেজপাড়ায় নয়নের ভাড়া বাড়িতে হামলার চেষ্টা চালালে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ খবর পেয়ে নয়ন দুপুর ১২টার দিকে দলবল নিয়ে বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকায় গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে দ্ইু গ্রুপের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায়ে সাহেদ হোসেন নয়ন এবং তার সঙ্গী মাসুদুর রহমান মাসুদকে কিলঘুষি মারে প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন। এছাড়া মাসুদ প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে জখম হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সূত্র আরো জানায়, সাহেদ হোসেন নয়নসহ তার পক্ষীয়দের ওপর হামলায় আলোচিত শরিফুল ইসলাম, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভাইপো রাকিবসহ প্রতিপক্ষ গ্রুপের বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে দেখা যায়। তবে এ সময় কাউকে আটকে পুলিশের পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। কোতয়ালি থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই আ ফ ম মনিরুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, তারা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন, গত ২৪ জানুয়ারি বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকা থেকে সাহেদ হোসেন নয়ন ও সাহেদ উর রহমান রনির পক্ষীয়রা পৃথক মিছিল নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিয়েছিলো। গত শনিবার সাহেদ হোসেন নয়নের স্ত্রী তাদের বিপক্ষ গ্রুপের এক যুবককে এ নিয়ে কৈফিয়ত চাইলে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সাহেদ হোসেন নয়ন গ্রুপের লোকজন পরে সেখানে গিয়ে ওই যুবককে মারধর করেন। ঘটনাটি জানতে পেরে সাহেদ উর রহমান রনি গ্রুপের লোকজন বেজপাড়ায় সাহেদ হোসেন নয়নের ভাড়া বাড়িতে হামলার চেষ্টা করেন। এ খবর পেয়ে সাহেদ হোসেন নয়ন দলবল নিয়ে সেখানে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।