খুলনায় ইভিএম’র তিনটি ব্যালট ইউনিট খোয়া!

0

খুলনা ব্যুরো॥ খুলনায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমের) তিনটি ব্যালট ইউনিট খোয়া গেছে। বুধবার অনুষ্ঠিত খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ২নং বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনের পর একটি কেন্দ্র থেকে মেশিনের এ অংশবিশেষ খোয়া যায় । এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মঞ্জুরুল ইসলাম।
সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত কবির। পুলিশ এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের সূত্র জানা গেছে, বুধবার খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ইউনিয়নের নয়টি কেন্দ্রেই ইভিএম মেশিনে ভোট গ্রহণ করা হয়। কিন্তু নির্বাচন শেষে সকল সরঞ্জাম জমা প্রদান করতে গেলে ইউনিয়নের ৫ নং উত্তর বারাকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের তিনটি ব্যালট ইউনিট পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম থানায় বুধবার রাতেই সাধারণ ডায়েরি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বজলুর রশিদ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদকে তিনি বলেন, ইভিএম মেশিনের তিনটি ব্যালট ইউনিট পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এটি হারিয়ে গেছে, নাকি চুরি হয়েছে, নাকি কম ছিল সে বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করতে পারেন নি। তবে তিনি বলেন, ব্যালট ইউনিট বা ইভিএম মেশিনের অংশবিশেষ পাওয়া না গেলেও তাতে ওই ইউপির সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনের ফলাফলে কোন প্রভাব পড়বে না। এর সঙ্গে ভোটের কোন সম্পর্ক নেই।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত কবির বলেন, ইভিএম মেশিনের তিনটি ব্যালট ইউনিট পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে । তবে এটি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়। তারাই এ বিষয়ে সমাধান করবেন। পুলিশের এ বিষয়ে কিছু করণীয় নেই।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গাজী সাহাগীর হোসেন পাভেল ৮ হাজার ৭৬৫ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের মো. কামাল হোসেন বিশ্বাস পেয়েছেন ৩শ’ ভোট। এ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন গত ১২ জুন সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে দীর্ঘ ৫০ দিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকার পর ৩ আগস্ট মৃতুবরণ করেন। তার মৃতুতে চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।