মহাসড়কে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা নেই নাভারণ হাইওয়ে পুলিশের

0

তরিকুল ইসলাম, ঝিকরগাছা (যশোর)॥ যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা, নিয়মিত হচ্ছে যানজট। দুর্ঘটনা নিরসনে বা মহাসড়কের যানজট নিয়ন্ত্রণে কোন ভূমিকা নেই হাইওয়ে পুলিশের। অভিযোগ রয়েছে অধিকাংশ সময়ে তারা ব্যস্ত থাকেন থ্রিহুইলার ও মোটরসাইকেলের কাগজপত্র পরীক্ষায়। মঙ্গলবার দিনভর যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের কীর্তিপুর, হাজেরালী, চারাতলাসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখাগেছে হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের রাস্তার পাশের ঝোপঝাড়ের মধ্যে গাড়ি রেখে রেন্ট্রিগাছের নিচে ওৎ পেতে থাকতে। যেকোন একটি থ্রিহুইলার ও অথবা মোটরসাইকেল দেখলেই তারা ঝাপিয়ে পড়ে সেটি জব্দ করে। অভিযোগ রয়েছে এ যানবাহনগুলো কাগজপত্র পরীক্ষার নামে তারা টাকা আদায় করেন। অথচ মহাসড়কের ঝিকরগাছা বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের উপর দাঁড়িয়ে এক বা একাধিক বাস যাত্রী উঠানামা করানোর কারণে বাজারের যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজটের কারণে ইতিমধ্যে দুটি পৃথক ঘটনায় দাড়িয়ে থাকা দুটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে। এসময় মাসুদ পারভেজ নামের এক মোটরসাইকেল আরোহীসহ বেশ কয়েকজন মারাত্মকভাবে আহত হয়। দ্রুতগতি ও ওভারটেকিংয়ের কারণে চলতি মাসেই কয়েকটি দুর্ঘটনায় ৩ কলেজছাত্রসহ ৫জন নিহত হয়েছে। চলতি মাসের ৮ অক্টোবর যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছা পৌরসভাধীন হাজিরালী বাখিখোলা নামক স্থানে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়।
ঝিকরগাছা বাজারের ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়দের দাবি, যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ব্যস্ততম এলাকায় মহাসড়কের গা ঘেষে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, মালামাল লোড-আনলোডিং, অবৈধভাবে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠা, যাত্রীপরিবহন নির্দিষ্ট স্থানের পরিবর্তে মহাসড়কের উপর দাড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করানো ইত্যাদি দুর্ঘটনার বহুলাংশের কারণ। অভিযোগ রয়েছে, এসব অনৈতিক সুবিধা দিয়ে নাভারন হাইওয়ে থানা পুলিশ অলিখিত মাসোহারা আদায় করে থাকেন। এদিন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আটককৃত ইজিবাইক চালক, সিএনজি, মোটরসাইকেল চালকরা বলেন, তারা সকলে টাকা দিয়ে গাড়ি ছাড়িয়েছেন। এসব অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে নাভারন হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মিজানুর রহমান বলেন, তিনি এদিন দিনভর মিটিংয়ে ছিলেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঝিকরগাছা বাজারসহ যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের যানজট মুক্ত করাসহ সকল প্রকার অনৈতিক কাজ বন্ধ করা হবে বলেও জানান তিনি।