স্টাফ রিপোর্টার ॥ হাবিবুর রহমান নামে একজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার যশোরের আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা হয়েছে। তার স্ত্রী সুমাইয়া ইয়াসমিন মামলাটি করেছেন। তিনি যশোর সদর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের বশির আহমেদের মেয়ে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য হাবিবুর রহমান ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মধুগঞ্জ গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকা পুলিশ লাইনে কর্মরত রয়েছেন।
মামলায় সুমাইয়া ইয়াসমিন উল্লেখ করেছেন, ২০২০ সালের ২৮ আগস্ট ৩ লাখ টাকা দেনমোহরে হাবিবুরের সাথে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। পরে তাদের সংসার চলাকালে হাবিবুর তার কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। অস্বীকার করায় হাবিবুর স্ত্রী সুমাইয়ার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকেন। এক পর্যায়ে গত ১১ জুলাই সুমাইয়াকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন হাবিবুর। ফলে সুমাইয়া তার পিতার বাড়িতে চলে আসেন। পরে সুমাইয়ার পিতার অনুরোধে গত ৭ অক্টোবর যশোরে শ্বশুরবাড়িতে আসেন হাবিবুর। এদিন বিকেলে ঘরোয়াভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হলে যৌতুকের ৩ লাখ টাকা ছাড়া স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। এছাড়া টাকা না দিলে সুমাইয়াকে তালাক দেওয়ারও হুমকি দেয়া হয়। এ কারণে বাধ্য হয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন সুমাইয়া।