বাড়ির আঙিনায় মাইক্রোবাসচালকের বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার

0

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর)॥ যশোরের মনিরামপুরে ইয়াছিন আরাফাত (৩৭) নামে এক মাইক্রোবাস চালকের বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের গালদা গ্রামের মানিকতলা মোড়ের নিজ বাড়ির টিউবওয়েলের পাশ থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোরে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে। নিহত ইয়াছিন আরাফাত সাতক্ষীরা জেলার মাধবকাটি গ্রামের মৃত মোতালেব হোসেনের ছেলে। লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি সিরিঞ্জ উদ্ধার করেছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের দাবি করা হয়েছে। পরবর্তীতে সহকারী পুলিশ সুপার আশেক মামুন সুজা, মণিরামপুর থানার (তদন্ত) গাজী মাহাবুবুর রহমান ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইয়াছিন আরাফাত মনিরামপুর উপজেলার ঝাপা গ্রামে বিয়ে করে দীর্ঘ দিন ধরে খেদাপাড়ার গালদা গ্রামের মানিকতলায় জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করে পরিবারবর্গ নিয়ে বসবাস করে আসছেন। তাদের পাঁচ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ নামে এক ছেলে রয়েছে। নিহতের স্ত্রী জোছনা খাতুন জানান, তার নানা মারা যাওয়ায় বৃহস্পতিবার পিতার বাড়ি সাতক্ষীরায় গিয়েছিলেন। তিনি জানান, রাত ১০ টার দিকে স্বামীর সাথে তার মোবাইল ফোনে শেষ কথা হয়েছে। শুক্রবার সকালে স্বামীর ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ না হওয়ায় তিনি বাড়িতে এসে টিউবওয়লের পাশে স্বামীর বিবস্ত্র লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পান।
খেদাপাড়া ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই সৌমেন বিশ্বাস জানান, নিহতের শরীরের কয়েকটি স্থানে সামান্য ক্ষত রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সিরিঞ্জ উদ্ধার হয়েছে। নিহতের বড়ভাই আবদুল হামিদ সরদার দাবি করেন, পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যা করা হতে পারে।
মণিরামপুর থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবদুল হামিদ সরদার বাদি হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাবার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।