বাঘারপাড়ায় প্রধান শিক্ষক সভাপতির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাঘারপাড়ায় এক রাজমিস্ত্রীর ঘাম ঝরানো মজুরির টাকা আত্মসাত করেছেন বাকড়ী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সীমা রাণী বিম্বাস ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বকুল বিশ্বাস। ভুক্তভোগী রাজমিস্ত্রী অনুপ বিশ্বাস এ বিষয়ে বাঘারপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বাকড়ী গ্রামের পঞ্চানন বিশ্বাসের ছেলে রাজ মিস্ত্রী অনুপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ওই বিদ্যালয়ের জায়গায় ছয়টি দোকান ঘর নির্মাণের জন্যে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতির সাথে তিনি চুক্তিবদ্ধ হন। মোট খরচ ৮১ হাজার টাকা ধরা হয়। এর মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করে। বাকি ৪১ হাজার টাকার বিপরীতে তার নামে একটি দোকান ঘর বরাদ্দ দেয়। দোকান ঘর নিমার্ণ কাজ শেষ হলে ওই দোকান ঘর তাকে বুঝিয়ে না দিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়ে দেয়, দোকান ঘর দেওয়া হবে না। তিনি টাকার দাবি করলেও তা দিতে অস্বীকৃতি জানায় বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বকুল বিশ্বাস। এরপর আমি নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ করেছি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি হেম চন্দ্র ভৌমিক জানিয়েছেন, রাজমিস্ত্রী অনুপ বিশ্বাস তার আমলেই মার্কেট নির্মাণ কাজের চুক্তিবদ্ধ হন। সে সময় মার্কেটের কাজ সমাপ্ত হয়নি। তবে অনুপের নামে দোকান ঘর বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি সত্য। নিয়ম অনুযায়ী তাকে দোকান বুঝিয়ে দেওয়া উচিত।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সীমা রাণী বিশ্বাস জানিয়েছেন, এলজিইডির টেন্ডারে বিদ্যালয়ের পুকুর সংস্কারের কাজ করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিথীকা বিশ্বাসের স্বামী বিপুল বিশ্বাস। পুকুরের মাটি বিক্রি নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী তরুণ সরকারের সাথে দ্বন্দ্ব হয়। রাজমিস্ত্রী অনুপ বিশ্বাস ও বিপুল বিশ্বাস আপন দুই ভাই। এর সূত্র ধরে তখনকার মেয়াদের সভাপতি বকুল বিশ্বাস অনুপকে আর ঘর দিতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বকুল বিশ্বাস জানিয়েছেন, তিনি অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ছিলেন। অনুপকে ঘর দেওয়ার বিষয়টি সত্য। তবে একটি মারামারির ঘটনায় তখনকার কমিটি সিদ্ধান্ত বদল করে। তার মেয়াদে অনুপকে ঘর দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি দাবি করেন, তিনি অনুপকে টাকা দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু সে নেয়নি।
বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন জানিয়েছেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।