খুলনায় হাজী ফয়েজ উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ে অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি!

0

 

খুলনা ব্যুরো॥ খুলনা নগরীর হাজী ফয়েজ উদ্দিন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে অবৈধ পন্থায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বাণিজ্যে নেমেছে একটি পক্ষ। এনিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগে জানা যায়, বিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পত্তিতে প্রচুর দোকান ভাড়া রয়েছে। যা থেকে প্রতিমাসে বিদ্যালয়ের আয় আসে। যে কারণে এ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য হতে আগ্রহী হন এলাকাবাসী। এসব পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা নানাবিধ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তারা নিয়ম-নীতিকে উপেক্ষা করে নিজেদের স্বার্থে বিদ্যালয়কে ব্যবহার করে অনৈতিক সুবিধা আদায়ে ব্যস্ত থাকেন।
অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়েরই শিক্ষক অনুপ কুমার বৈরাগীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাকে প্রধান শিক্ষক করার সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। এ কাজে সদর থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন তাদের সহযোগিতা করছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন ওই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা দীপ্তি রানী দে। তিনি খুলনা সদর সহকারী জজ আদালতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে মামলা করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দীপ্তি রানী দে অবসরে যাওয়ার পর আবারো তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে পরিচালনা পরিষদের কাছে আবেদন করেন। পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শেখ আবিদ উল্লাহসহ অন্য সদস্যরা এ ব্যাপারে তাকে আশ্বস্তও করেন। কিন্তু তারা ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অনুপ কুমার বৈরাগীর কাছ থেকে ১২ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে তাকে প্রধান শিক্ষক করার সকল কার্যক্রম এগিয়ে নেন।
এ ব্যাপারে অনুপ কুমার বৈরাগীর কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পষিদের সভাপতির সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন।
পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শেখ আবিদ উল্লাহ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে ব্যস্ততার অজুহাতে তিনি এড়িয়ে যান।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মোমেনের সাথে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।