অভয়নগরে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার, অভয়নগর (যশোর)॥ যশোরের অভয়নগর উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী নাঈমাকে (৭) ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে ৩৫ বছর বয়সী ঘের কর্মচারী আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। রোববার রাত ১১ টার দিকে পার্শ্ববর্তী ডোবায় কচুরিপনার ভেতর থেকে ভেসে ওঠা একটি হাত দেখে নাঈমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, মোবাইলে গান শোনার লোভে পূর্ব পরিচিত ওই ঘের কর্মচারীকে পেয়ারা দিতে গিয়ে তারই হাতে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয় শিশু নাঈমা। পুলিশ ওই রাতে আমজাদ হোসেনকে থানায় নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সোমবার বিকেল ৫টায়, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত ছিল বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে। পুলিশের দাবি, লাশের ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
পরিবার ও এলাকাবাসী বলছে, শিশু নাইমার সাথে একই গ্রামের কোরাইশ মোল্যা ওরফে কুশোর ছেলে আমজাদ (৩৮) নামের ওই ঘের কর্মচারীর চমৎকার সম্পর্ক ছিল। আমজাদের ফোনে প্রায়ই গান শুনতে যেতো নাঈমা। সম্পর্কের কারণে আমজাদকে বন্ধু ডাকতো সে। ৭ আগস্ট, রোববার বিকেলে মেয়েটি তার মাকে জানায়, বন্ধুকে একটা পেয়ারা দিতে যাচ্ছে। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের সদস্যরা আমজাদের কাছে গেলে সে বিষয়টি জানে না বলে জানায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে মেয়েটির বড় চাচা রফিক একই এলাকার একটি পরিত্যক্ত ঘেরের পাড়ে কচুরিপানার মধ্যে তাকে দেখতে পান। এরপর মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
নাইমার বড় ভাই নাঈম হোসেন জানান, তার বোনকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে।
অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম হাসান বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কিছু বিষয় নিয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কাউকে এখনও আটক করা হয়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, ঘটনা তদন্তে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করেছে বলে তিনি জানান।
নিহত নাইমা অভয়নগর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি প্রাইমারি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।