কপিলমুনি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন মাদ্রাসা শিক্ষকের রোষানলে ১০ পরিবার

0

কপিলমুনি (খুলনা) সংবাদদাতা॥ খুলনার কপিলমুনির হাবিবনগর মাদ্রাসা শিক্ষক আনিছুর রহমানের রোষানলে জিম্মি হয়ে পড়েছে ১০ টি পরিবার। অক্ষরজ্ঞানহীন পরিবার গুলির নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে রীতিমতো হয়রানি ও পৈতৃক ভিটা ছাড়তে বাধ্য করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এমন অভিযোগে ভুক্তভোগী পরিবার কপিলমুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে নাজমা আক্তার জানান, উপজেলার নগরশ্রীরামপুর গ্রামের মৃত অজিয়ার ফকিরের ছেলে ও হাবিবনগর ফাজেল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আনিছুর রহমান ফকির তাদের প্রতিবেশী। ওই এলাকার মৌজায় বিআরএস ১৬৮ নং খতিয়ানের ২৯৫ দাগে সওকত আলী ফকির, আবুবকর ফকির, নাছিমা বেগম, সাহিদা বেগম গংয়ের নামে হিস্যা অনুযায়ী ৩৬ শতক জমি চূড়ান্ত রেকর্ড হয়। সে অনুযায়ী ১০ টি পরিবার তাদের সন্তানাদি নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু সম্পত্তির উপর কুনজর পড়ে প্রতিপক্ষ ও পাশ্ববর্তী জমি মালিক মাদ্রাসা শিক্ষক আনিছুর রহমানের। তিনি অক্ষরজ্ঞানহীন ১০ টি পরিবারের আংশিক জমির মালিকানা দাবি করে দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। এরই প্রেক্ষিতে একের পর এক ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ জুলাই পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নারী পুরুষসহ ৭ জনকে আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। শুধু তাই নয়, এর আগেও উপজেলা নির্বাহী আদালতে ভুক্তভোগীদের নামে ১৪৪ ধারার মামলা করে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছেন। তাছাড়া, ভাড়া করে বহিরাগত কিশোর গ্যাং নিয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান নাজমা আক্তার। শিক্ষক আনিছের এমন হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা ও জমি জবর দখল থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।