আষাঢ়ে ভারী বর্ষণের দেখা মেলেনি খরায় পুড়ছে ঝিনাইদহের মাঠ-ঘাট

0

আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ ॥ আষাঢ় মাস শেষ হয়েছে, অথচ বৃষ্টি নেই। এবার ভরা আষাঢ়ে দেখা মেলেনি বৃষ্টির। ফলে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বীজতলা দিতে না পেরে অনেক কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আষাঢ় মাসের এই শেষ দিকে আগে দিনভর টিপটপ বৃষ্টি আর মাঠঘাট থৈথৈ করতো পানিতে। আর এখন ভরা আষাঢ়ে চৈত্রের খরায় পুড়ছে ঝিনাইদহ। গোটা জেলার কোথাও ভারী বর্ষণের দেখা মেলেনি। এ নিয়ে ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগও শংকায় পড়েছে। মাঠঘাট পানি শুন্য। উচ্চমুল্যের ডিজেল কিনে বীজতলা তৈরি করতে হচ্ছে কৃষকদের। ফলে কাক্সিক্ষত বৃষ্টি না হলে একদিকে যেমন কৃষকের সেচ খরচ বৃদ্ধি পেয়ে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে, অন্যদিকে আমন ও আউশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিতে পারে। সাধুহাটীর বংকিরা গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান জানান, বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ দিয়ে বীজতলা তৈরি করেেত হয়েছে। এতে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। কৃষক বাবলুর রহমান জানান, আউশ আবাদে সম্পূরক সেচ দিতে হচ্ছে, অথচ আগে সেচ লাগতো না।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আজগর আলী জানান, ভরা আষাঢ়ে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকদের হেক্টর প্রতি খরচ বেড়ে যাবে। তাছাড়া অনেক কৃষক এখনো বীজতলা দিতে পারেনি। কারণ আমন আবাদ পুরো আষাঢ়ের বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। কৃষিবিদ আজগর আলী আরও জানান, চলতি আবাদ মৌসুমে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় এক লাখ ছয় হাজার ৮৩৮ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৬ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় উভয় আবাদ ঝুঁকির মুখে পড়েছে।