যারা জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করে তারাই পাকিস্তানের অনুচর: মির্জা ফখরুল

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা দেশকে ধ্বংস করছে, যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে, যারা আজকে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিলীন করে দিচ্ছে তাদেরকে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অবশ্যই পরাজিত করবো।
তিনি মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, যারা জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এবং তারাই হচ্ছে পাকিস্তানের অনুচর। এখন আপনারা যা করছেন তা পাকিস্তানের চেয়ে কোনো অংশে কম নয় বরং আরও বেশি করছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যেভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল মানুষকে হত্যা করেছিল, জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল আজকে একই ভাবে আপনারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। মানুষের অধিকার করে দিয়েছেন। কেড়ে নিচ্ছেন এবং দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে একেবারে সয়লাব।
গাজীপুর মহানগরীর নগপাড়ায় একটি কনভেনশন সেন্টারে গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বেনজির আহমেদ টিটু, সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন কবীর খান, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সালাহ উদ্দিন সরকার প্রমুখ।
তিনি বলেন, আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। আমরা ইতিমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছি যে, কিছুদিন আগে আইনমন্ত্রী ও সরকারের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের যে টেলিফোন আলাপ ফাঁস হয়েছে।
‘টেলিফোনে যে কথাগুলো হয়েছে সে কথাগুলোর মধ্যে সজিব ওয়াজেদ জয়ের নাম এসেছে। সেই কথাগুলোর মধ্যে বিচার বিভাগের নাম এসেছে। আমরা জানতে চাই কথাগুলোর অর্থ কি? সেই কথাগুলোতে যা বলা হয়েছে তার তদন্ত করে জনগণের সামনে তুলে আনা হোক।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের যে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক চর্চা কাউন্সিল করা, মিটিং করা, সভা করা, তাও তারা করতে দিতে চায় না, তারা ভয় পায়। দেশে সভা সমাবেশ করতে প্রতি মুহূর্তে আমাদের বাধা প্রদান করা হয়। আমাদের প্রায় ৩৫ লাখ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। কভিড টিকা ক্রয়ে ২৩ হাজার কোটি টাকার লুটপাট করা হয়েছে। গাজীপুরের টঙ্গী-চৌরাস্তা সড়ক নির্মাণে প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৩ কোটি টাকা। যা পৃথিবীর কোনো দেশে নেই। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে দুর্নীতি হচ্ছে না। গোটা দেশটাকে তারা দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে।
আজকে আমাদের স্বার্থে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, এ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার স্বার্থে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।