গণসংহতির নিত্যপণ্যের দাম কমানোর বিক্ষোভে পুলিশের বাধা, হাতাহাতি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ভোজ্যতেল, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ ও সিলিন্ডার গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির তৎপরতা রুখে দেওয়ার আহ্বানে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ বাধা দেওয়ার পর হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সমাবেশ থেকে বক্তারা জানান, গণপ্রতিরোধে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা হবে।গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘মানুষ বিক্ষুব্ধ, রাজপথে নামবে। তেলের দাম এক বছরের মাথায় দ্বিগুন হয়ে গেল। সরকারের অপেক্ষা না করে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে কারণ তারা জানে সরকার তাদের সঙ্গেই আছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, সিন্ডিকেট সব নিয়ন্ত্রণ করে। সিন্ডিকেটই যদি সব করে তাহলে সরকারের কাজ কি? সিন্ডিকেট কিছু করে না। সিন্ডিকেটকে সরকারই নিয়ন্ত্রণ করে। সরকার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জনগণের পকেট কাটছে।’ করোনায় ৩ কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের অন্তত ১০ কোটি মানুষ এখন চূড়ান্ত সংকটে দিন-যাপন করছে। সরকারের উচিত ছিল তাদের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু সরকারের মন্ত্রীরা ছোট-বড় উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি-লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। লুটপাটের টাকা সমন্বয় করতেই গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। দাম বাড়িয়ে তারপর তারা শুনানি করেন। সরকারি সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়।’ বুধবার পাবনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার প্রতিবাদে ডিসি অফিসের সামনের বিক্ষোভে হামলা করেছে পুলিশ এবং ব্যানার কেড়ে নিয়েছে দাবি করে সাকি বলেন, ‘হামলা করেই চলেছে। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা জানে লুটপাট করছে। তাই তাদের হামলা করো, পুলিশ দিয়ে পিটাও। রাষ্ট্রযন্ত্রকে আর ব্যবহার করতে পারবেন না। মানুষ এখনো ধাওয়া দেওয়া শুরু করেনি। আপনাদের পুলিশ আর গুন্ডাবাহিনীকে মানুষ যখন ধাওয়া দেওয়া শুরু করবে সেদিন পালানোর জায়গা পাবেন না। এ লুটপাট, দুর্নীতি, অত্যাচার করে, ভোটচুরি করে সরকার হয়ে আবারও একটি ভোটচুরির পাঁয়তারা করছেন, জনগণ তা রুখে দেবে। এবারের লড়াই সরকার পতনের লড়াই, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লড়াই, ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের লড়াই।’ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখ্তার, ফিরোজ আহমেদ, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক রায়সহ অন্যান্য নেতারা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে একই দাবিতে বুধবার (২ মার্চ) জেলায় জেলায় ডিসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে দলটি।