‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আ’লীগ ১০ শতাংশ আসনও পাবে না’

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সাধারণ মানুষ যদি ভোট দিতে পারে এবং তা গণনা হয় দেখা যাবে এ সরকার ১০ শতাংশ আসনও পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আয়োজিত লেখক মুশতাক আহমেদের স্মরণে এক আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারকে সরাতে হবে। তাতে কোনো আলোচনার প্রয়োজন নেই। এ দেশের রাজনীতির রও যারা বুঝে তারা জানে অত্যাচার থেকে বাঁচতে এ সরকারকে অপসারণ করতে হবে। আর সেটা জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া হলে তা কখনো লাভজনক হয়নি তা প্রমাণিত।
আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ। সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশের রিমান্ড মানে ধরে নেওয়া হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হবে। এভাবেই লেখক মুশতাককে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে মেরে ফেলা হয়েছে। শুধু মুশতাক একা নয়, এর আগেও অনেককে এভাবে হত্যা করা হয়েছে। বলা হল মুশতাকের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে কিশোরে জামিন হয়েছে। মুশতাকের মৃত্যু না হলে হয়তো কিশোরেরও এভাবে মৃত্যু হতো। আপনি বলছেন, আইনের চোখে সবাই সমান। কিন্তু ৬ বার আবেদন করার পরও তাকে আপনি জামিন দিলেন না। তিনি বলেন, আগামী সোমবার বা রোববার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করবেন। যেই হোক না কেন এটা আমরা জানি প্রধানমন্ত্রী দপ্তর বা তার দিক থেকে যে তালিকা ধরিয়ে দেওয়া হবে রাষ্ট্রপতি সেটাই ঘোষণা করবেন। এর বাইরে অন্য কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। আরেকটা হুদা মার্কা কমিশন তৈরি হবে। জোনায়েদ সাকী বলেন, আজকের এই দিনে ২০২১ সালে মুশতাক আহমেদ কারাগারে নিহত হলেন। মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা হল সঙ্গে আরও ১২ জনের নামে। আপনারা কার্টুনিস্ট কিশোরের কথাও জানেন। কিশোর যদি জামিন পায় তাহলে মুশতাক কেন জামিন পেলেন না? তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় একটি নির্বাচন করা সম্ভব না। তারা এখন নির্বাচন করবেন, তাদের মতো করে করবে। কখনো ১৪ সালের মতো করবেন কখনো ১৮ সালের মতো করবেন। তারা হয়তো ঠিক করবেন, আমাদের মতো আমাদের সঙ্গে আসেন, একটি দুটি আসন নিয়ে যান। বাংলাদেশের অবস্থা এখন এমন যে দেশটা নাগরিকদের হবে নাকি একটি পরিবারের হবে। রাস্তা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ হাসিবউদ্দিন হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, জেএসডির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কারের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান প্রমুখ।