সার্চ কমিটিতে চূড়ান্ত ১০ জনের নাম প্রকাশের দাবি টিআইবির

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগে রাষ্ট্রপতির কাছে সার্চ কমিটির জমা দেওয়া ১০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। টিআইবি বলছে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২২’-এর ৪(১) অনুচ্ছেদ মেনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে এ নামগুলো প্রকাশ করা উচিত। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ দাবি জানান।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগে গঠিত সার্চ কমিটি দফায় দফায় সভা ও বিভিন্নজনের মতামতের ভিত্তিতে যে ১০ জনের নামের তালিকা চূড়ান্ত করেছে, তা প্রকাশের দাবি জানাই। যে আইনি ক্ষমতাবলে অনুসন্ধান কমিটির নিয়োগ, সেই আইনে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশে কোনো বাধা নেই। বরং আইনের ৪(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী- স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার স্বার্থে এ তালিকা প্রকাশের দায়িত্ব ও এখতিয়ার কমিটিকে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আহ্বান জানাই ও আশা করি, অনুসন্ধান কমিটি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বের অংশ হিসেবেই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাবিত চূড়ান্ত ১০ জনের নামের তালিকা প্রকাশের আইনি ক্ষমতা ও সুযোগ গ্রহণ করবেন। এতে দায়িত্ব পালনে তাদের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে।’
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘বিদ্যমান আইনের ৪ নম্বর ধারার উপধারা ১-এ বলা হয়েছে, অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করিয়া দায়িত্ব পালন করিবে। ফলে সার্চ কমিটির সুপারিশ করা ১০ জনের চূড়ান্ত নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে আইনে নির্ধারিত স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতির সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ বিবেচনায় অনুসন্ধান কমিটি আইন অনুযায়ী তার দায়িত্ব পালন করেছে, জনমনে এ রূপ ধারণা দিতেই এ তালিকা প্রকাশ করবে- এমনটাই প্রত্যাশা করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইতোপূর্বে ব্যক্তিপর্যায়ে ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রস্তাবিত ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশের যে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে, তার ধারাবাহিকতায় নাগরিক সমাজ ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের প্রত্যাশার প্রতি সম্মান জানিয়ে, এ তালিকা প্রকাশে জোর দাবি জানাচ্ছে টিআইবি।’ বিবৃতিতে বলা হয়, তবে টিআইবি মনে করে- নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রত্যাশিত স্বচ্ছতা দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। তা নির্ভর করবে, নতুন কমিশনের কর্মক্ষেত্রে বাস্তব নিরপেক্ষতা, সৎসাহস ও দৃঢ়তা এবং নির্বাচনকালীন সরকারের আচরণের পাশাপাশি প্রশাসন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ভূমিকার ওপর। ‘তারপরও অনুসন্ধান কমিটি প্রণীত তালিকাটি প্রকাশ করা হলে কমিটি তার দায়িত্ব পালনে আইনসম্মতভাবে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করতে পেরেছে এটুকু বিবেচনায়, তা জনগণের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তিদায়ক হবে’ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।