লবনচরা থেকে প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

0

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা॥ খুলনার থেকে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত বুধবার নগরীর লবনচরা থানার পিঁপড়ামারি রোড এলাকায় অভিয়ান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটক তিন সদস্য হচ্ছে, প্রতারক চক্রের মূলহোতা কয়রার বেতকাশি এলাকার এসএম শহিদুল ইসলামের ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম হৃদয়(৩২), তার সহযোগী কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার আশুতিয়াপাড়া গ্রামের মৃত মোঃ শাহবুদ্দিন সরকারের ছেলে মোঃ মামুন মাহমুদ(৪২) ও তার স্ত্রী সুলতানা আক্তার (৩৭)।
র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র কখনো ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কখনো কাষ্টমসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কখনো উর্দ্ধতন সরকারী কর্মকর্তা, অথবা কখনো সেনা বাহিনীর কর্মকর্তার পরিচয়ে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে অথবা বড় অংকের ব্যাংক ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে শাখা প্রশাখা বিস্তারের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এই প্রতারক চক্রের অভিনব কর্ম কৌশলের মাধ্যমে তাদের নারী সহকর্মীদের কাজে লাগিয়ে এবং দামি গাড়ি ভাড়া করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাইট ভিজিটে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে কোটি টাকার ব্যাংক লোন করিয়ে দেওয়ার দরবার করে থাকেন এবং সুকৌশলে প্রতারণার ফাঁদ এঁটে থাকেন। এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) দেশের দক্ষিণাঞ্চল খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী সহ ফরিদপুর, ঢাকা, চাঁদপুর, গাজিপুর, বগুড়া, নরসিংদী ও অন্যান্য অঞ্চলের প্রায় ২১ জন ভুক্তভোগীর আহাজারিকে আমলে নিয়ে অভিযান শুরু করে। এসময় র‌্যাব জানতে পারে এই প্রতারক চক্র প্রতারণার মাধ্যমে এই ভুক্তভোগীদের নিকট হতে আনুমানিক ৭২ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীদের সাথে কথোপকথনে র‌্যাব আরও জানতে পারে, এই চক্রের সদস্যরা তাদের বিভিন্ন ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, প্রিন্সিপাল অফিসার, কাষ্টমস কর্মকর্তা সহ উর্ধ্বতন সরকারী ক্যাডারের পরিচয় দেয় এবং চক্রের সদস্যদের সহায়তায় ব্যাংক এবং সরকারী অফিসে বসেই ৫০ লক্ষ থেকে ২ শত কোটি টাকা অংকের লোন করিয়ে দেওয়া সহ চাকুরি প্রদানের কথা বলে বিশ্বাস অর্জন করে এবং প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। গত বুধবার পিঁপড়ামারি রোড এলাকায় অভিযানে তিনজন আটক হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক চক্রের মূল হোতা মোঃ রবিউল ইসলাম হৃদয় প্রতারণার অভিনব কর্মকৌশল ও ফাঁদের কথা র‌্যাবের কাছে স্বীকার করে।