কপিলমুনিতে মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তান সংসদের যৌথ সংবাদ সম্মেলন

0

কপিলমুনি (খুলনাা) সংবাদদাতা ॥ সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গন কপিলমুনিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ ও যুদ্ধকালীণ রাজাকার ঘাাঁটিসহ রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু প্রতিষ্ঠিত বেদমন্দির ও সকল সম্পত্তির অবৈধ দখলমুক্তর দাবি জানিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ হরিঢালী ও কপিলমুনি ইউনিয়ন কমান্ড, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ পাইকগাছা উপজেলা, কপিলমুনি ও হরিঢালী ইউনিয়ন শাখা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় পাইকগাছার কপিলমুনি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কপিলমুনি মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখী সমবায় সমিতি লি: এর সাধারণ সম্পাদক শেখ জামাল হোসেন।
বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে সারাদেশে গণহত্যার স্থান, যুদ্ধ ময়দানের স্মৃতি সংরক্ষণ করছে। যার ধারাবাহিকতায় কপিলমুনি গণহত্যার স্থানে বদ্ধভূমি নির্মিত হয়েছে। ঐতিহাসিক কপিলমুনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্তদিবসে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক কপিলমুনিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন ও পরে ২ কোটির বেশি টাকা বরাদ্দ দেন। মূলত এরপর থেকে স্মৃতি কমপ্লেক্স’র বিরোধিতা করে স্বাধিনতা বিরোধী একটি চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের নানামুখী ষড়যন্ত্রে বন্ধ হয়ে যায় এর নির্মাণ কাজ। মুখোশধারী কতিপয় রাজনীতিক, তথাকথিত বুদ্ধিজীবিদের উষ্কানি ও ছত্রছায়ায় স্থানীয় তপন সাধু গং কমপ্লেক্স’র নির্মাণ কাজ বন্ধ করে নির্ধারিত স্থানে রাতের আঁধারে পাকা ইমারত নির্মাণ শুরু করে। এরপর স্থানীয় সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধাসহ সুশীল সমাজকে সাথে নিয়ে দখলদারদের সাথে বসাবসি করেও সফলতা আসেনি। এরপর সরকার দখলকৃত সম্পত্তির অধিগ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় সর্বশেষ বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) খুলনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মারুফ উল আলমের নেতৃত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পরিদর্শণ ও অধিগ্রহনের বিষয়টি অবহিত করনে আসলে। তপন সাধু গংরা বিরোধী চক্রের সদস্যদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হৈ হট্টগোল শুরু করে। এসময় তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অশোভন আচারণ এমনকি সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উপস্থিত জনতা তাদের প্রতিহত করতে চেষ্টা করেন বলেও জানান তিনি। সর্বশেষ বাঁধার মুখে সরকার কমপ্লেক্স’র নির্ধারিত স্থানে সাড়ে ১১ শতক জমির অধিগ্রহন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে দখলদার নানামুখী অপতৎপরতায় নতুন করে নানা আশংকা জেঁকে বসেছে।