খুলনায় হামলার ২২ দিন পর ১২৭ জনকে আসামী করে মামলা

0

এহতেশামুল হক শাওন, খুলনা॥ খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের লাখোয়াটী গ্রামে সোহেল ও তার ভাইদের বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতিতে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার ২২ দিন পর দিঘলিয়া থানায় বৃহস্পতিবার মামলা হয়েছে। মামলা নং ১। মামলায় মোট আসামী করা হয়েছে ১২৭ জনকে। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামী ৬৭ জন। আর অজ্ঞাতনামা আসামী য়েছে ৫০ থেকে ৬০ জন। পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। ৩ ফেব্রুয়ারী ভোরবেলা লাখোহাটি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে রসুল (৩৫) এবং রুবেল (৩৮) কে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারে জোর অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রিপন কুমার সরকারের দাবি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিপক্ষের ভয়ে গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে এলাকার বাইরে পালিয়ে ছিলেন সোহেল। গত ১১ জানুয়ারী কামারগাতী পুলিশ ক্যাম্পের সহায়তায় তিনি নিজ বাড়িতে ফেরেন। প্রতিপক্ষ আনছার শেখের লোকজন এ সংবাদ জানতে পেওে এক থেকে দেড়শ লোক নিয়ে সোহেল এবং তার অপর দুই ভাইয়ের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা, ভাংচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ চালায়। হামলাকারীরা বাড়ির মহিলাদের লাঞ্চিত করে। ঘর থেকে রান্নার হাড়ি-পাতিল পুকুরে ফেলে দেয়। এমনকি গোয়ালঘরে ঢুকে গরুকে মারধর করে। ঘটনার সময় উপস্থিত কামারগাতী ক্যাম্পের পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে দিঘলিয়া থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। স্থানীয়রা জানায়, সোহেল এবং তার দুই ভাই বর্তমান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেনের সমর্থক। লাখোয়াটী গ্রামের শেখ আনছার আলী এবং বারাকপুরের গাজী জাকির হোসেনের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। তাদের দু’জনের বিরোধের কারণে ইউনিয়নে তাদের সমর্থকদের মধ্যে একাধিক হামলা, ভাংচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। দু’ পক্ষের সমর্থকদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। এলাকা ছাড়া হয়েছে অনেকে। এদিকে থানায় মামলা দায়ের এবং আসামী গ্রেপ্তারের ঘটনায় ফের এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।