মনিরামপুরে পুলিশি বাধা, যানবাহনে তল্লাশি: বিকল্প উপায়ে অসংখ্য নেতাকর্মী যোগ দিলেন বিএনপির সমাবেশে

0

স্টাফ রিপোর্টার, মনিরামপুর (যশোর) ॥ মনিরামপুরে গতকাল বুধবার সকাল থেকে মোড়ে মোড়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এর ফলে বিএনপি নেতাকর্মীদের বহনকৃত বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন যশোর শহরে ঢুকতে পারেনি। তারপরও বিকল্পভাবে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী যশোরের সমাবেশে যোগ দেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে এদিন দুপুর দুইটায় যশোর টাউন হল ময়দানে সমাবেশে যোগদান উপলক্ষে মনিরামপুরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পৌরশহরসহ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন থেকে দেড় শতাধিক বাস-ট্রাক ভাড়া করা হয় আগে থেকেই। নির্ধারিত সময়ের আগেই সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীদের বহনকৃত যানবাহন আসতে থাকে মনিরামপুর সদরে। কিছুক্ষণের মধ্যে পৌরশহরের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে এসব যানবাহন আটকিয়ে দেয়ার। এছাড়া যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের নামিয়ে দেয়। পৌরশহর ছাড়াও একই অভিযোগ রয়েছে উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে। মনিরামপুর ও রাজগঞ্জ থেকে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বহনকৃত সব যানবাহন আটকিয়ে দেয়। তার পরও নেতাকর্মীরা তাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীর মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে যশোরের সমাবেশে যোগ দিতে এতটুকু কুন্ঠাবোধ করেননি। পুলিশের বাধার মুখে যানবাহন ছাড়াই বিকল্পভাবে হাজারো নেতাকর্মী মিছিল সহকারে যশোরের সমাবেশে যোগ দেন।
পৌর বিএনপির আহবায়ক খায়রুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ নয় বছর পর যশোরের সমাবেশকে ঘিরে মনিরামপুরে দলীয় নেতাকর্মীরা বেশ উজ্জীবিত। ফলে কোন বাধা তাদেরকে আটকাতে পারেনি। থানা বিএনপির আহবায়ক সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন জানান, গোটা উপজেলা থেকে ১০ হাজার নেতাকর্মী যশোরের সমাবেশে যোগদানের প্রস্তুতি নেন। তিনি অভিযোগ করেন, সকাল থেকে পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ নেতাকর্মীদের বাধা দিয়ে যানবাহন আটকিয়ে দিলেও কয়েক হাজার নেতাকর্মী বিকল্প উপায়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে সমাবেশে যোগ দেন। এ ব্যাপারে মনিরামপুর থানা পুলিশের ওসি নূর ই আলম সিদ্দিকী জানান, নাশকতার আশঙ্কায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থেকে যানবাহনে তল্লাশি চালিয়েছে।