চুয়াডাঙ্গা জেলায় বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সংলাপ অনুষ্ঠিত

0

রিফাত রহমান,চুয়াডাঙ্গাপ্রতিনিধি(১৫.১২.২০২১):চুয়াডাঙ্গা জেলায় বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ট্রেনিং সেন্টারে কোভিড-১৯ বিরুদ্ধে সুরক্ষা ও জনচাহিদা ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপটির আয়োজন করে সামাজিক সংগঠন লোকমোর্চা ও ওয়েভ ফাউন্ডেশন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমোর্চার সভাপতি ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরস (পিপি) অ্যাড বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ.এস.এম. মারুফ হাসান, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার সম্পাদক সরদার আল আমিন, দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এ.এস.এম. ফাতেহ্ আকরাম,ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা লোকমোর্চার সভাপতি অ্যাড মানিক আকবর, জীবননগর উপজেলা লোমোর্চার সভাপতি আব্দুল লতিফ অমল ও দামুড়হুদা উপজেলা লোকমোর্চার সভাপতি হযরত আলী।
সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন,ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধ। সংলাপ পত্র পাঠ করেন প্রভাষক আমিরুল ইসলাম জয়।
আরও বক্তব্য রাখেন, দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি আহাদ আলী মোল্লা, সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেফালী খাতুন, সাবেক ইউপি সদস্য সেলিনা খাতুন, মাশরাফি মর্তুজা প্রমুখ।
দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি নাজমুল হক স্বপন বলেন, সাধ্যের বাইরে যেতে পারবো না। আমাদের দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। হাসপাতালে যা আছে, সেগুলোকেই যদি কাজে লাগাতে পারি, তাহলে সকল সমস্যার সমাধান করা যাবে। সব প্রতিষ্ঠানেই কর্মকর্তা থাকেন। কিন্তু কখনো কখনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের থেকেও বড় হয়ে ওঠে, তার কাজের মাধ্যমে। সিভিল সার্জন জেলার সমস্ত স্বাস্থ্যক্ষেত্রের দায়িত্বে আছেন। তিনি চাইলেই অনেক কাজ করতে পারেন।
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার সম্পাদক সরদার আলামিন বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করতে হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আরো বেশি দায়িত্বশীল ও আন্তরিক হতে হবে। চেষ্টা করলেই সমস্যার সমাধান করা যাবে।
সংলাপে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, বিল্ডিং কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। প্রতিষ্ঠান হলো ব্যবস্থাপনা। হাসপাতালের প্রতিবন্ধকতা থাকতে পারে, তবে ব্যবস্থাপনা ঠিক থাকলে সমস্যার সমাধান করা যাবে।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা.এ.এস.এম. মারুফ হাসান বলেন, ৫০ শয্যার লোকবল নিয়ে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল চলছে। আমরা আমাদের মতো সবোর্চ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিছু সমস্যা থাকতেই পারে, সেগুলোর সমাধান করা হবে।
সংলাপে লোকমোর্চা ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধির জন্য জরিপের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন প্রস্তাব উস্থাপন করা হয়।