ওরা এসেছিল সাতটি মোটরসাইকেলে

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকাল ৪টার সামান্য পরের ঘটনা। মসজিদে চলছিল আসরের নামাজ। নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের পাথুরিয়া পাড়ায় তখন মুহুর্মুহু গুলির শব্দ। কুমিল্লায় নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও সহযোগীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে এভাবেই হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা জানান, কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল স্থানীয় সেলিমের একটি টিনের দোকানে বসে নিয়মিত আড্ডা ও সেখানে বসে ঠিকাদারি পরিচালনা করতেন। সোমবার রীতিমতো তার সহযোগীরাসহ ওই দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন তিনি। এসময় সাতটি মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন মুখোশ পরা দুর্বৃত্ত কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকেন। কাউন্সিলর সোহেলের মাথা, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ৯টি গুলি লাগে। তার নিথর দেহ পড়ে থাকে চেয়ারের ওপর। শুধু কাউন্সিলর নয়, ওইসময় গুলিবিদ্ধ হন তার আরও ৫জন সহযোগী। মারা যান তিনি ও হরিপদ সাহা। অন্যান্য আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ভিড় বাড়তে থাকে স্বজনদের। এরপর পুলিশের উপস্থিতিও বাড়ে। সাংবাদিকরা চার ঘণ্টারও বেশি সময় উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করেন হাসপাতাল আঙিনায়।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন জানান, কাউন্সিলর সোহেলের মাথায়, বুকের ডান পাশে, বাম চোখের নিচেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৯টি গুলি লাগে। সন্ধ্যার আগে যখন কাউন্সিলর সোহেলকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। আমরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের একটি মেডিকেল টিম কাউন্সিলরসহ তাদেরকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাই। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। হরিপদ সাহাও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার পেটে ১টি গুলি লাগে। আমরা তাদের রাত ৮টায় মৃত ঘোষণা করি। বর্তমানে তার লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।