নির্বাচন কমিশনের নামে শুধু একটা অফিস আছে, সত্তা নেই: রিজভী

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ক্ষমতায় আসার পর এই সরকার সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নামের শুধু একটা অফিস আছে। কিন্তু কমিশন নামের যে একটা সত্তা, তা তারা ভেঙে দিয়েছে। রিজভী বলেন, সরকার তার অনুকম্পার চাকরবাকর দিয়ে নির্বাচন কমিশন সাজাবে। প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন, সে কথা অনুযায়ীই নির্বাচনের ফলাফল হবে। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর গণতন্ত্রের কলঙ্ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুখে গণতন্ত্রের কথা বলেন। তার মুখের গণতন্ত্রের কথার সঙ্গে পলিটিকাল সাইন্সে পৃথিবীর মনিষীরা যে গণতন্ত্রের কথা বলেছেন তার কোনো মিল নাই। শেখ হাসিনার গণতন্ত্র হচ্ছে, তারা আজীবন ক্ষমতায় থাকুক। নেতাকর্মীরা বিদেশে ঘরবাড়ি করুক। বিভিন্ন প্রজেক্টের নামে লক্ষ কোটি টাকা পাচার হবে, এটা হলো শেখ হাসিনার গণতন্ত্র। গভমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল নয়। বরং গভমেন্ট অব দ্য লুটপাটের টাকা, বাই দ্য সন্ত্রাসীদের উৎপাত, ফর দ্য লুটেরা। এই হলো শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের সংজ্ঞা। বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, বিরোধী দলের রাজনীতি যারা করেন, যারা একটু কথাবার্তা বলেন, সরকার কথায় কথায় তাদের জঙ্গি-সন্ত্রাসী মন্তব্য করে। সাধারণ মানুষ আপনাদের এসব আচরণ কিভাবে নিচ্ছে, কী বলতে চাচ্ছে, কখনো কি বুঝতে পেরেছেন? আপনি তা পারেননি। কারণ আপনার প্রয়োজন পড়েনি। আপনার ভোটের দরকার নেই। আপনার দরকার ক্ষমতার সোনার হরিণটাকে নিজের কাছে রাখা। জঙ্গি কারা? যাদের মধ্যে নূন্যতম রাজনীতি আদর্শ আছে, তা এক হাতে, আরেক হাতে হলো সন্ত্রাস। এর মধ্য দিয়েই তারা তাদের আদর্শ প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। আজকে উনারা জঙ্গি বলে মন্তব্য করেন। অথচ ২৮ অক্টোবরের ঘটনার সঙ্গে জঙ্গির সঙ্গে কোনো পার্থক্য আছে? আপনার সোনার ছেলেরা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করে লাশের উপর নৃত্য করেছে। সে ছবি, ভিডিও এখনো আছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার যে ষড়যন্ত্র, তার প্রথম আলামত। এটা হলো একটা আন্তর্জাতিক মাস্টার প্ল্যান। করোনা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সরকার বলছে শীতে করোনা বাড়তে পারে। অথচ এই সরকার যখন করোনা আসে, তখন কোনো উদ্যোগ নেয়নি। রাস্তাঘাটে মানুষ মারা গেছে, অথচ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আজকে ঠিকই করোনার কথা বলছে। ঢাকার বাইরে দুই একটা হাসপাতাল ছাড়া এখনো পর্যন্ত করোনার ভালো কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা নাই। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। এখন তেলের দাম বাড়ানোর পায়তারা করছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই প্রভাব পড়বে। জিনিসের দাম বাড়ানোর কারণে চারদিক থেকে এত রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিবাদ করছে, এর প্রতি সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তাদের তো পকেট ঠিকই ভারী হচ্ছে। তাদের আর দরকার কী। তাদের তো কানাডায় বাড়িঘর আছে।