আন্তর্জাতিক সংবাদ

0

ভারতে ‘মুসলিম-বিদ্বেষী’ গ্রুপ পেইজ ঠেকাতে নাজেহাল ফেইসবুক
লোকসমাজ ডেস্ক॥ ভারতে কিছু ফেইসবুক গ্রুপ ও পেইজ থেকে অব্যাহতভাবে ‘উস্কানিমূলক ও মুসলিমবিদ্বেষী’ বিভিন্ন পোস্ট করা হয়ে থাকে। আর এসব ‘ভুল তথ্যের আদান-প্রদান, বিদ্বেষমূলক মন্তব্য এবং হিংসার উদ্যাপন’ রুখতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে ফেইসবুককে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, ভারতে বিদ্বেষ ছড়ানো ফেইসবুক পোস্টের ওপর নজরদারি করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির গবেষকরা একটি ফেইসবুক প্রোফাইল বানিয়েছিল। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। ভারতের কেরালা রাজ্যে বাস করে, এ রকম কোনো ব্যক্তির প্রোফাইল হিসেবে এটি খোলা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রোফাইল খোলার পর তিন সপ্তাহ ফেইসবুকের অ্যালগোরিদম মেনে দেখানো গ্রুপ, পেইজে যোগ দেওয়া হয়েছিল ওই অ্যাকাউন্ট থেকে। সেখান থেকেও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য এবং হিংসার উদ্যাপন পরিলক্ষিত হয়েছে।’ ভারতে ফেইসবুকের মাধ্যমে হিংসা ছড়ানো রুখতে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ অনেকটা হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ভারত ফেইসবুকের অন্যতম বৃহৎ বাজার। অভ্যন্তরীণ তথ্য জানাচ্ছে- সেখানে ভুল তথ্য, বিদ্বেষমূলক মন্তব্য এক বড় সমস্যা।’ বিভিন্ন ভুয়া অ্যাকাউন্ট ও ‘বট’ ভারতের ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রচারে ব্যবহৃত হয়েছে যা রীতিমতো উদ্বেগের। এ রকমই একটি ভুয়া অ্যাকাউন্টের তিন কোটির বেশি ফলোয়ার ফেইসবুক কর্তৃপক্ষকে বিস্মিত করেছে।

‘তুমি পাকিস্তানি’: বিশ্বকাপে বাবরদের কাছে ভারতের হারের পরই কাশ্মিরিদের ওপর হামলা
লোকসমাজ ডেস্ক॥ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ের পর ভারতের পাঞ্জাবের বিভিন্ন কলেজে পড়াশোনা করা কাশ্মিরি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। হামলাকারীদের বেশির ভাগই পাঞ্জাবে বসবাসরত উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের লোকজন। হিন্দুস্তান পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘ফ্রি প্রেস কাশ্মির’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের সাংরুরে ভাই গুরু দাস ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে বেশ কয়েকজন কাশ্মিরি ছাত্রের ওপর হামলা হয়েছে। তাদের হোস্টেলের কক্ষে হামলা করা হয়। আক্রান্ত এক ছাত্র হামলার লাইভ স্ট্রিমও করেন ফেসবুকে। শিক্ষার্থীদের ওপর রড ও লাঠি দিয়ে হামলা করা হয়। ভাই গুরু দাস ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আকিকে উদ্ধৃত করে ফ্রি প্রেস কাশ্মির জানায় যে উত্তর প্রদেশ ও বিহারের কয়েকজন ছাত্র তার রুমে ঢুকে তাকে আক্রমণ করে। একই কলেজের অপর এক ছাত্র শোয়েব বলেন, ‘আমরা আমাদের হোস্টেলের রুমে ছিলাম তখন বাইরে থেকে কিছু শব্দ শুনতে পাই। আমরা কি ঘটছে তা দেখতে গিয়েছিলাম এবং অন্য ব্লকে কিছু লোককে কাশ্মিরি ছাত্রদের আক্রমণ করতে দেখেছি। তারা ঘরের জানালার কাচ ভেঙ্গে ক্রমাগত ‘তুমি পাকিস্তানি’ বলে চিৎকার করছিল।’ অন্য এক ছাত্র বলেন, ‘স্থানীয় পাঞ্জাবিরা আমাদের উদ্ধার করতে এসেছিল। তারা আমাদের এই হামলা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল।’ আরো বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন যে তারা কলেজ প্রশাসনের সাথে এই হামলা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের আশ্বাস দেয়া হয়েছে যে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে। এই হামলার ঘটনায় অন্তত ছয় কাশ্মিরি ছাত্র জখম হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

বয়স ১৬ না হলে ফেসবুক চালালে জরিমানা, খসড়া আইন অস্ট্রেলিয়ায়
লোকসমাজ ডেস্ক॥ অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বাবা-মায়ের অনুমতি নিতে হবে। অস্ট্রেলিয়ায় এমন একটি আইনের খসড়া পেশ করা হয়েছে। ফেসবুক-টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো যদি সেই নিয়ম মানতে ব্যর্থ হয়, তবে ‘মাল্টিমিলিয়ন’ ডলার জরিমানার বিধান থাকবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনটি বাস্তবায়িত হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেকোনো উপায়ে ব্যবহারকারীর বয়স জানতে হবে। আর শিশুদের তথ্য সংগ্রহের সময় অবশ্যই তাদের মঙ্গলকে প্রাধান্য দিতে হবে। এ প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ আছে, তেমনই আছে অনলাইন ফোরাম রেডইট, ডেটিং অ্যাপ বাম্বলও। এই আইন পাস হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বয়স নিয়ন্ত্রণে কঠোরতম দেশগুলোর একটি হবে অস্ট্রেলিয়া। সেই সঙ্গে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় একধাপ এগোবে দেশটি। সংবাদমাধ্যমের কনটেন্ট নিজেদের প্ল্যাটফর্ম দেখাতে চাইলে ওই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে চুক্তি করা এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির সরকার। তা ছাড়া অনলাইনে ভুয়া তথ্যের প্রসার রোধেও কঠোর হচ্ছে।