খুলনায় করোনার নমুনা পরীক্ষার টাকা আত্মসাৎ, তদন্তে দুদক

0

খুলনা সংবাদদাতা॥ খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ল্যাব ইনচার্জ ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাস করোনা টেস্টের ২ কোটি ৫৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনায় খুলনা সদর থানায় জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার রাতে সিভিল সার্জন বলেছেন, ঘটনার তদন্তভার ও আইনগত ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য জিডির কপি দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, জেনারেল হাসপাতালে বিদেশগামীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। টেস্টের শুরু থেকেই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাশ নমুনা পরীক্ষার ফি গ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া তিনি ল্যাব ইনচার্জের দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তিনি ২০২০ সালের ২ জুলাই থেকে প্রতিদিন যতজন পরীক্ষা করাতেন, তার চেয়ে কম সংখ্যক মানুষের নাম খাতায় লিপিবদ্ধ করতেন। বাকি টাকা আত্মসাৎ করতেন। প্রকাশ যে তালিকা দিতেন সে অনুযায়ী ক্যাশিয়ার টাকা বুঝে নিয়ে ব্যাংকে জমা দিতেন। একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, জেনারেল হাসপাতালে ল্যাব ইনচার্জ ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাসের একার পক্ষে এতো বড় দুর্নীতি করা সম্ভব না। কারণ হিসেবে সূত্র উল্লেখ করেছে, করোনার টেস্ট কতগুলো, টেস্টে কতো টাকা হয়েছে- এর সবই হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: এস এম মুরাদ হোসেন অবহিত ছিলেন। কারণ হাসপাতালের যাবতীয় দেখভাল তিনিই করতেন। খুলনার সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ মঙ্গলবার রাতে এ প্রতিবেদককে বলেন, হাসপাতালে ল্যাব ইনচার্জ ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে থানায় জিডি করা হয়েছে। জিডি’র কপি খুলনা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এতো বড় অংকের টাকা ল্যাব টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাসের একার পক্ষে আত্মসাৎ করা সম্ভব কি-না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই টাকা আত্মসাতের সাথে কে কে জড়িত রয়েছে- তা এখন দুদক তদন্ত করে বের করবে। মামলাটিও দুদক’ই করবে। অতএব এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।