শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় সরগরম রামপালের ৯ ইউপি

0

রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা || শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম রামপাল উপজেরার ৯ টি ইউনিয়নের নির্বাচনী মাঠ। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে প্রার্থীদের প্রচারণা। নানা প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসের ফুল ঝুড়ি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে ভোটারদের মাঝেও রয়েছে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ। বিগত দিনে পাশে রয়েছেন, উন্নয়ন করেছেন এমন প্রার্থীদেরকে ভোট দেয়ার কথা জানিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা। এছাড়া নতুন প্রার্থীদেরও কদর রয়েছে বেশ। এ উপজেলায় এবার প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে বাইনতলা ইউনিয়নে। বাইনতলা ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে ২০ সেপ্টেম্বর ভোট গ্রহণ হবে ইভিএমএ। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণসহ ভোটারদের মাঝে প্রচারণা চালানো হয়েছে। শনিবার দিনভর ওই এলাকায় ইভিএমএ ভোট দেয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে ভিডিও চিত্র পদর্শন করা হয়েছে।


রামপাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ জাকারিয়া জানান, ৯ টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ২০ হাজার ২৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৬০ হাজার ১৮৩ জন। মহিলা ভোটর সংখ্যা ৬০ হাজার ৬৪ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ২০ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে এ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে চেয়ারম্যানসহ সদস্য প্রার্থীর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আর রাজনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মারা যাওয়ায় ওই ইউনিয়নে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। আর বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় নির্বাচিত হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে ভোট হচ্ছে না বাঁশতলী, মল্লিকেরবেড়, ভোজপাতিয়া, হুড়কা ও রামপাল সদর ইউনিয়নে। তবে এ চারটি ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ১৪ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। আর সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে লড়ছেন ৩ শ ৮৪ জন প্রার্থী। এখানকার ৯ টি ইউনিয়নের ৮১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ভোট। ভোট কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি প্রস্তুতের জন্য শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটানিং অফিসার শেখ জাকারিয়াসহ অন্যান্যরা। তিনি বলেন, রবিবার সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি পাঠানো শুরু হবে। ভোট নির্বিঘ্ন করতে সকল ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কবীর হোসেন বলেন, আমাদের সর্বমোট ৮১টি কেন্দ্র, প্রতিটি কেন্দ্রকেই আমরা গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। শতভাগ নিরপেক্ষ ও সাধারণ মানুষ যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। চার প্লাটুন বিজিব, চারজন বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন, তারা দেখবেন ঠিকঠাক মত নির্বাচন হচ্ছে কিনা, কোথাও আইন ভঙ্গ হচ্ছে কিনা। পাশাপাশি পুলিশের মোবাইল টিম ও র‌্যাব থাকবে। সব মিলিয়ে আমরা বলতে পারি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, পরিচ্ছন্ন ভোটের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।