যেভাবে সময় কাটে খালেদা জিয়ার

0

শাহনেওয়াজ বাবলু॥ শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পাওয়ার পর প্রায় ১৭ মাস গুলশানের বাসা ফিরোজায় অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মাঝে করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ৫৪ দিন হাসপাতালে চিকিসাধীন ছিলেন তিনি। এর পরে করোনা টিকা নেয়া এবং চিকিৎসাজনিত কারণে বেশ কয়েকবার বাসা থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য বের হয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে করোনার টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছেন। প্রথম ডোজ নেয়ার পর জ্বর এলেও দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর কোনো সমস্যা হয়নি। এদিকে করোনা থেকে সেরে উঠলেও নানা অসুস্থতায় ভুগছেন তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শে রুটিনমাফিক জীবনযাপন করছেন। তার পরিবার ও কার্যালয় সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।
ধর্মীয় বিধিবিধান পালন, ঘুম, খাওয়া-দাওয়া, পত্রিকা পড়া, টেলিভশন দেখা এবং ভিডিও কলে লন্ডনে অবস্থানরত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেই এখন সময় কাটছে খালেদা জিয়ার। দীর্ঘদিনের অভ্যাস অনুযায়ী সকালে পত্রিকা পড়েন। তারপর গৃহকর্মী ফাতেমার সহযোগিতায় ওষুধ সেবন করেন। এ সময় টেলিভিশনও দেখেন। আসরের নামাজের পর দেশে অবস্থানরত স্বজনদের সঙ্গে কিছু সময় টেলিফোনে কথা বলেন। সন্ধ্যায় প্রায় নিয়মিত চিকিৎসকরা তাকে দেখতে যান। চিকিৎসকরা চলে যাওয়ার পর রাতের খাবার সারেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ও লন্ডনের সময় মিলিয়ে লন্ডনে বসবাসরত ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও নাতনিদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন। তারপর ঘুমাতে যান। এইভাবে রুটিন জীবনযাপন করছেন খালেদা জিয়া। জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, চিকিৎসকদের নির্দেশে এখনো আমরা গুলশানের বাসভবনে যেতে পারছি না। করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার পর কয়েকদিন জ্বর ছিল। তাছাড়া খাওয়া-দাওয়া ঠিকভাবে করতে পারছেন না। এ কারণে দুর্বল হয়ে পড়ছেন বলে মনে করছি। বাসায় তার ব্যক্তিগত স্টাফ ফাতেমা ছাড়াও একজন নার্স ও প্রয়াত কোকোর বাসার ব্যক্তিগত স্টাফ এ ৩ জন হুইল চেয়ারে উঠিয়ে চলাফেলা করান। তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর দোয়া চাই। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত এক চিকিৎসক বলেন, দিন দিন ম্যাডাম কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ছেন। উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার দুর্বলতা বাড়ছে। আগে বাইরে বের হলে হুইল চেয়ার লাগতো। এখন ঘরের মধ্যেও হুইল চেয়ার লাগে। দুই থেকে তিনজন তাকে সহযোগিতা করে। ওষুধ খাইয়ে তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া নিয়মিত থেরাপি দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য জটিলতাও রয়েছে।