জিয়ার কবর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘হাস্যকর’ বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের মরদেহ নেই, তা খালেদা জিয়াসহ বিএনপির নেতারাও ভালো করে জানেন’-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বিশোষগার করেছেন আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি তার মাজার সম্পর্কে কথা বলেছেন, তার ৭১ সালের যুদ্ধের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেছেন। এটা একটা হাস্যকর বক্তব্য রেখেছেন।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আজকে এটা ঐতিহাসিকভাবে সত্য, দিবালোকের মতো সত্য যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে থেকেই যুদ্ধ করেছেন। এটা দিবালোকের মতো সত্য যে, তিনি (জিয়াউর রহমান) যেদিন শাহাদাত বরণ করেন সেদিন এদেশের লাখ লাখ মানুষ কেঁদেছিল।’ আওয়ামী লীগ সংবিধান লঙ্ঘন করেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, ভোটের অধিকার লুট করেছে, বাংলাদেশকে একটা তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সত্যিকার অর্থে বলতে, তারা আজকে জনগণের সমস্ত অধিকার ছিনিয়ে এটাকে পুরোপুরি তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চলেছে।’ বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা, যে হত্যা-গুম হচ্ছে, এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হলে জনগণের ইস্পাত কঠিন ঐক্য দরকার। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে সেই ঐক্য গড়ে উঠবে, জনতার ঐক্য গড়ে উঠবে।’ ২১ আগস্টের ঘটনা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘২১ আগস্ট একটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের প্রথম সোপান ছিল। প্রকৃতপক্ষে ২১ আগস্ট একটি সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত বাংলাদেশকে আবার গণতন্ত্রহীন করার জন্য, বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নগুলোকে ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার জন্য, বাংলাদেশ যে একটি সত্যিকার অর্থে সুখী রাষ্ট্র নির্মিত হবে সেই স্বপ্নকে পুরোপুরি ভেঙে দেয়ার জন্য ২১ আগস্ট।’
২১ আগস্ট কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘১/১১ ঘটনার জন্য ২১ আগস্ট ছিল একটা প্রাথমিক চক্রান্ত। ঝুঁকিটা বড় ছিল। আমরা এই ধরনের ঘটনার বিরোধী। বিএনপি সব সময় যেকোনো রকম অন্যায়, হত্যা এবং সংঘাতের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক দল। সেজন্য তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছিলেন, প্রতিবাদ করেছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতার (শেখ হাসিনা) বাসায় যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু তাকে যেতে দেয়া হয়নি।’ বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান।