আগের মতোই কি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকবে কাবুল?

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ পশ্চিমাদের ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে ১০ দিনের মাথায় কাবুল দখলে নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। এখন তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষায়। তালেবানশাসিত আফগান সরকারের সমর্থন করবে না অনেকেই, সেই ধারণার অনেকটাই পরিবর্তন দেখছে বিশ্ববাসী। দ্যা ইকোনমিস্টের বিশ্লেষণ বলছে, এরই মধ্যে রাশিয়া, চীনসহ বহু দেশ তাদের সুর বদলেছে। যদিও তালেবানের সঙ্গে কাজ করা নিয়ে একটা অস্বস্তি থেকেই যেতে পারে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানশাসিত আফগানিস্তানের অবস্থা বিশ্বব্যাপী নিন্দিত ছিল। আন্তর্জাতিক জিহাদিদের অতিথি হিসেবে আশ্রয় দেওয়া, নারী নিপীড়ন, প্রকাশ্যে বিচারের নামে নিষ্ঠুরতা ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলকে ভেঙে ফেলার মতো অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। মাত্র তিনটি দেশ পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌাদি আরব তাদের সমর্থন করেছিল ওই সময়। কিন্তু ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনার অভিযোগ ওঠে আল-কায়েদার বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদা আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের আশ্রয়ে রয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে সেখানে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র রাষ্ট্রগুলো।
বিশ বছর পর যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করে তালেবানরা এখন নিশ্চিত করতে চায় তাদের দ্বিতীয়বারের মতো দেশ পরিচালনা পদ্ধতি একটি সুন্দর কূটনৈতিকভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকবে। বড় ধরনের রক্তপাত ছাড়াই কাবুল দখলে নেওয়া তালেবান এখন আধুনিক, প্রতিষ্ঠিত ও সুসংগঠিত বলে প্রকাশ করছে। যদিও জিহাদি আরও কয়েকটি সংগঠন মনে করে, তালেবান হচ্ছে ‘ধর্মত্যাগী মিলিশিয়া’ এমনকী আমেরিকান এজেন্ট। পশ্চিমাদের কাছে তালেবানের ধর্মভিত্তিক কোনো দ্বন্দ্ব না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অবমাননাকর হচ্ছে চীন, ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে তালেবানের সম্পৃক্ততা। এরই মধ্যে সেটিও প্রকাশও পাচ্ছে তালেবানের আকার-ইঙ্গিতে। তবে এখনও অনেক দেশ তালেবানের ব্যাপারে সন্দিহান। ফলে কাবুলের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আরও দীর্ঘমেয়াদি হবে।