‘ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুবকরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে’

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বালেছেন, ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুবকরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। মানবতার মুক্তি ও একটি কল্যাণমুখী সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুবকদেরই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় মানুষকে শোষণ করা ছাড়া আর দেয়ার মতো কিছু নেই।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নরসিংদী জেলা শাখার উদ্যোগে ইউনিট প্রধানদের নিয়ে ভার্চুয়ালি আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ইসলামকে ভালোবাসে। ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করে। এখন প্রয়োজন ইসলামী চেতনা ধারণ করা এবং এর কল্যাণমুখী কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে জীবন ব্যবস্থা হিসেবে ইসলামের প্রকৃত রূপ তুলে ধরা। ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অনুভূতি জাগ্রত করা। আদর্শহীনতা, নৈতিক অবক্ষয়, বস্তুবাদী জীবন দর্শন ও পরিবার প্রথার ভগ্নদশা সমাজকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এ অবস্থায় ইসলামই আগামী দিনের সম্ভাবনা, মুক্তিকামী মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল।
অ্যাডভোকেট আকন্দ আরো বলেন, দেশে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী, নেতৃত্ব ও সংগঠনের উপর চলমান জুলুম-নির্যাতনের মধ্যে ইসলামী শক্তির যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ইউনিট প্রধানদেরকে তা কাজে লাগাতে হবে। ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। হিংসা-বিদ্বেষ, লুটপাট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। করোনায় বিপদগ্রস্ত মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। তাদের চিকিৎসা সেবাসহ সব ধরণের সহযোগিতা করতে হবে।
জেলা আমির মাওলানা মোছলেহুদ্দীনের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আমজাদ হোসাইনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য আব্দুল জাব্বার।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ইউনিট প্রধানগণ সংগঠনের চালিকা শক্তি। ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় তাদের কাঙ্খিত ভূমিকা রাখতে হবে। জনসেবামূলক তৎপরতা বৃদ্ধি করে গণমুখী সংগঠন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আব্দুল জাব্বার বলেন, আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ঈমানের ভিত্তিতে নির্ধারিত ও সিসাঢালা প্রাচীরের মতোই মজবুত। ভ্রাতৃত্ববোধকে ধারণ করে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে আমাদের সকল তৎপরতা পরিচালনা করতে হবে।