ক্রেতা বিক্রেতায় জনাকীর্ণ বাগেরহাটের পশুহাট, নেই শুধু করোনা সতর্কতা

0

আলী আকবর টুটুল, বাগেরহাট ॥ কুরবানি ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বাগেরহাট পশু হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম বাড়ছে। জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা। শনিবার সকাল থেকেই এ হাটে দেশি ও বিদেশি নানান জাতের গরুর পাশাপাশি ছাগল ও মহিষ বিক্রি হচ্ছে। তবে হাটে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। অবশ্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও (ইউএনও) স্বীকার করেছেন যে, জরিমানা করার পরও পশুরহাটে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।
শনিবার উপজেলার বেতাগা হাটে গিয়ে দেখা যায়, বড় গরুর পাশাপাশি ছাগল, মহিষও ছিল প্রচুর সংখ্যক। বেচাকেনা চলছে পুরোদমে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে হাটে আগতদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মাইকিং করা হচ্ছে। তারপরও ক্রেতা ও বিক্রেতারা কেউই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।
হাটে গরু বিক্রি করতে আসা গৃহস্থ ইব্রাহিম শেখ বলেন, ‘ছয় ও সাত মণ ওজনের দুটি ষাঁড় নিয়ে এসেছি। ক্রেতারা পছন্দও করছেন, কিন্তু উপযুক্ত দাম বলছেন না।’ শরণখোলা উপজেলা থেকে ৪৭টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন ব্যাপারি আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, ‘ ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৭টি গরু নিয়ে হাটে এসেছি। ১৫টির মত বিক্রি করেছি। সামান্য লাভ হয়েছে। কিন্তু সবগুলো যদি আজকে বিক্রি করে যেতে পারি, তাহলে ভালো আয় হবে। না হলে শ্রমিকদের বেতন দিয়ে একটু কষ্ট হয়ে যাবে। আরেক ব্যপারি ইকবাল মোড়ল বলেন, ৬টা গরু নিয়ে এসেছি। চারটা বিক্রি করেছি। তবে ছোট গরুর চাহিদা অনেক বেশি।’
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মাস্ক না পড়ার কারণ জানতে চাইলে ক্রেতা-বিক্রেতারা বলেন গরুর হাটে আবার স্বাস্থ্যবিধি কিসের। মাস্ক পড়ে গরু কেনাবেঁচা হয় না।
তিনটি গরু নিয়ে মাস্ক ছাড়াই হাটে অবস্থান করছেন আব্দুল হালিম নামের এক ব্যাপারি। মাস্ক ছাড়াই দুই কিশোরসহ গরু কিনতে আসেন ষাটোর্ধ বয়সী মুজিবুর রহমান। ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা বেগম বলেন, ‘ফকিরহাটে দুটি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। দুটি হাটেই পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। এসব হাটে আসা মানুষের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। সেই সাথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। এরপরেও কিছু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করায়, আমরা কিছু মানুষকে জরিমানাও করেছি। সর্বোপরি মানুষ সচেতন না হলে, পশুর হাটে স্বাস্থবিধি নিশ্চিত করা খুবই কঠিন বিষয়।’