নববধূকে কটাক্ষ, প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেল ভাসুরের

0

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা॥ সদ্য বিয়ে করে নিয়ে আসা ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে কটাক্ষের প্রতিবাদ করতে যান ভাসুর। এতে গ্রামের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মারা যান ভাসুর মজনু (৪৫)। ঘটনাটি ঘটে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। আর মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মজনু। নিহত মজনু পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তিনি উপজেলার চর সাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর গ্রামের মোফাজ্জল প্রামাণিকের ছেলে। এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, শনিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় ঘোষপুর গ্রামের হামিদুলের ছেলে সদ্য বিয়ে করা শিপনের স্ত্রীকে নিয়ে কটাক্ষ করেন জোয়ার্দার গ্রুপের লোকজন। এ নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। পরেরদিন রোববার (২৩ মে) দুপুরে শিপন ওই গ্রামের চালাকপাড়ায় মোটরসাইকেলের তেল কিনতে যান। এ সময় জোয়ার্দার গ্রুপের সঙ্গে শিপনের স্বজনদের সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের শিপন, মজনু, হোসাইন, আমজাদ, নজরুল, সোহেল ও মোমিন আহত হন। পরে উভয়পক্ষের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে পাবনা সদরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে মজনু অবস্থার পরিবর্তন না হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মজনু। এ বিষয়ে নিহতের চাচাতো ভাই সাইদ হোসেন জানান, চাচাতো ভাই শিপনের স্ত্রীকে নিয়ে কটাক্ষ করে জোয়ার্দার গ্রুপের লোকজন। কটাক্ষের প্রতিবাদ করতে গেলে তারা মজনুসহ আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে মজনু মারা যান।
জোয়ার্দার পক্ষের মিয়ারুল বলেন, শনিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়। সেই সূত্র ধরে রোববার দুপুরে ওরা লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়ির উপর আক্রমণ করে। এ সময় বাড়ির নারীরা মিলে সবাই ঠেকাতে যায়। তখন ওরা এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে। এতে আমাদের নজরুল, সোহেল, মমিন আহত হন। এ বিষয়ে চর সাদিপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আব্দুল মজিদ মুঠোফোনে জানান, তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিবেশীরা মারামারি করেছে। এতে মজনু নামে একজন মারা গেছেন। কুমারখালীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, নববধূকে নিয়ে কটাক্ষের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হলে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। মঙ্গলবার সকালে মজনু নামের একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।