ভয়াবহ ইয়েলো ফাঙ্গাসের চিকিৎসা ও করণীয়

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ভারতজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে এমনিতেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে নতুন আরও কিছু রোগ। সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন স্থানে ব্ল্যাক এবং হোয়াইট ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দুই ধরনের রোগ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই দেশটির চিকিৎসকদের নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে ইয়েলো ফাঙ্গাস। সোমবার উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ শহরে ইয়েলো ফাঙ্গাসে আক্রান্ত এক রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, ব্ল্যাক বা হোয়াইট ফাঙ্গাস থেকে আরও ভয়াবহ হতে পারে ইয়েলো ফাঙ্গাস।
ইয়েলো ফাঙ্গাসের উপসর্গ
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাধারণত সংক্রমিত ব্যক্তির ওজন কমে যাওয়া, ক্লান্তিভাব, ক্ষুধা না পাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়। সংক্রমণ বাড়তে থাকলে রোগীর দেহে পুঁজ ফেটে যাওয়ার মতো উপসর্গও দেখা গেছে। এছাড়া ক্ষত থাকলে তা না সারা বা শুকাতেও সময় লাগে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে চোখ বসে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা দেয়। শেষমেশ সংক্রমিতের দেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে পচন ধরে বলে জানা গেছে। ইয়েলো ফাঙ্গাসের সংক্রমণ দেহের ভেতরে প্রভাব বিস্তার করে বলে চিকিৎসকরা একে ব্ল্যাক বা হোয়াইট ফাঙ্গাসের তুলনায় ক্ষতিকর বলে দাবি করছেন। এ ফাঙ্গাসের উপসর্গ দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু করা উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
চিকিৎসকদের মতে, স্বাস্থ্যবিধিতে অবহেলা করলে এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে বাসি খাবার খাওয়া বা অত্যন্ত বেশি আর্দ্র পরিবেশে থাকলেও এতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
চিকিৎসা ও করণীয়
মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মতো ইয়েলো ফাঙ্গাসের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও অ্যাম্ফোটারেসিন-বি ইঞ্জেকশন দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের চিকিৎসক ডা. তিয়াগি।
এই ভয়াবহ রোগ থেকে বাঁচতে চিকিৎসকরা যেসব পরামর্শ দিচ্ছেন সেগুলো হচ্ছে-
১. নিজের রুম, বাসা-বাড়ি এবং বাড়ির আশেপাশের জায়গা যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখতে হবে।
২. বাসি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩. ঘরের আদ্রতা যেন বজায় থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর ঘর যেমন পরিষ্কার রাখা জরুরি একইভাবে ইয়েলো ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীর ঘরেও পর্যাপ্ত বাতাস এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা জরুরি।
৪. করোনায় আক্রান্ত রোগীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরু করা উচিত যেন ইয়েলো ফাঙ্গাসের মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে না পারে। সাধারণত করোনায় আক্রান্ত বা এ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তাই এ ধরনের লোকজনের স্বাস্থ্যের বিষয়ে শুরু থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।