বেনাপোলে আবাসিক হোটেল মালিকদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ইউএনও

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ বেনাপোলে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ থেকে হোটেল ভাড়া বেশি আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে হোটেল মালিকদের কড়া হুঁশিয়ারি দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মির আলিফ রেজা। বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে বেনাপোলের আবাসিক হোটেলে মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
বেনাপোলের সান সিটি আবাসিক হোটেলের মালিক রাশেদুজ্জামান রাসেল জানান, বেনাপোলের কিছু অসাধু আবাসিক হোটেলে ব্যবসায়ীরা কোয়ারান্টিনে থাকা পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ থেকে হোটেল ভাড়া বেশি নিচ্ছে। আর যেসব আবাসিক হোটেলে খাবারে ব্যবস্থা আছে তারা নিন্মমানের খাবার দিয়ে চড়া দাম নিচ্ছে এসব পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ থেকে। এজন্য গতকাল উপজেলা প্রশাসন বেনাপোলের আবাসিক হোটেলে মালিকদের ডেকে আলোচনা সভার মাধ্যমে কোনো অনিয়ম না করার কড়া হুঁশিয়ারি দেন। তিনি আরো জানান, তাদের হোটেলে থাকা পাসপোর্ট যাত্রীদের সব ধরনের সহযোগিতা করছেন তারা। তাদের যাতে কোনো প্রকার সমস্যা না হয় সেজন্য হোটেল স্টাফদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোলে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনে থাকা কয়েকজন পাসপোর্ট যাত্রী হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে জানান, তারা চিকিৎসা করাতে ভারতে গিয়ে সব টাকা শেষ হয়ে গিয়েছে। দেশে ফিরে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক বেনাপোলে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু কিছু অসাধু হোটেল ব্যবসায়ীরা তাদের এক প্রকার জিম্মি করে হোটেল ভাড়া বেশি আদায়, নিন্মমানের ও বাসি খাবার দিয়ে তাদের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করছে। এবং হোটেলের দুই এক দিনের ভাড়া বাকি থাকালে তাদের রুমের বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বন্ধ করে হয়রানি করছে। শার্শা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা জানান, তাদের কাছে অভিযোগ আছে ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীদের করোনা ভেরিয়েন্ট রোধে বেনাপোলের কিছু আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের জন্য প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে। কিন্তু অসহায় এসব পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষ ভাড়া বেশি আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম করছে। এজন্য আজ এসব হোটেল মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। যাতে কোনো প্রকার ভাড়া বেশি আদায় ও কোনো অনিয়ম না করে সেজন্য কড়া হুঁশিয়ারি করে দেওয়া হয়েছে। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, নাভারন সার্কেল (এএসপি) জুয়েল ইমরান, শার্শা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী ভূমি) রাসনা শারমিন মিথি, বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান, ইমিগ্রেশন (ওসি) আহসান হাবিবসহ বেনাপোলে আবাসিক হোটেল মালিকরা।