যশোরে আরো ৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত স্থানান্তর হয়নি কাঁচা ও মাছ বাজার

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে গতকাল আরো ৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ৫ হাজার ৮শ ৮৪ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। এদিকে, করোনার থাবা নিয়ন্ত্রণে যশোরের কাঁচা ও মাছ বাজার স্থানান্তর করার কথা থাকলেও গতকাল রোববার তা স্থানান্তর করা হয়নি। ব্যবসায়ীরা বিকেল ৩টা পর্যন্ত যে যার জায়গায় ব্যবসা করেছেন। যশোর সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানিয়েছেন, ২৪ ঘন্টায় যশোরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ জন। পূর্বদিনের আক্রান্ত তালিকা নিয়ে এ রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়ে থাকে। ওই ৪ জন ছিল র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনে আক্রান্ত। গতকাল দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনে ১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টার থেকে পরীক্ষিত ১শ ৯৬টি নমুনা পরীক্ষায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ জন। সব মিলে যশোরে একদিনে ৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট ৫ হাজার ৮শ ৮৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৯শ ৬০ জন সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানিয়েছেন, আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৭ জন। আইসোলেশনে রয়েছেন ৭শ ৮৮ জন। করোনা পরিস্থিতি সম্প্রতি বেড়ে যাওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় লকডাউন। লকডাউনের ৫ম দিনে যশোরে তা পালনে মানুষের মাঝে তেমন কোন আন্তরিকতা লক্ষ্য করা যায়নি। জীবন-জীবিকার স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইক চলাচলের অনুমতি রয়েছে। প্রাইভেটকার মাইক্রোবাস চলার অনুমতি না থাকলেও শহরে হর-হামেশা প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস চলাচল করছে। তাতে ঠাসাঠাসি করে থাকছে যাত্রী। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও তারা ভ্রুক্ষেপ করছেন না।
লকডাউন সফল করার জন্য যশোর শহরের কাঁচা বাজার ও মাছের বাজার স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় গত শনিবার যশোর সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায়। গতকাল তা কার্যকর হয়নি। ব্যবসায়ীরা বাজার না সরিয়ে বেলা ৩টা পর্যন্ত যে যার মতো ব্যবসা করেছেন। এ সময় আখি নামে এক তরকারি ব্যবসায়ী বলেন, ব্যবসায়ীদের মিটিং হয়েছে। আমরা দোকান অন্যত্র সরাবো না। যে যার জায়গায় থেকে ব্যবসা করবো। তবে, আগের মতো না। এখন থেকে সারাদিনের বদলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কাঁচা বাজার ও মাছের বাজার খোলা রাখা হবে। নেতারা তাদের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন বলে ওই ব্যবসায়ী লোকসমাজকে জানান। এ ব্যাপারে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করা যশোর জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শহরের এইচএমএম রোডে কাঁচা বাজার ও খালধার রোডে মাছের বাজার নেয়ার কথা। ব্যবসায়ীরা মিটিং করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছিলেন। রোববার পার হয়েছে। আজ সোমবার ব্যবস্থা না নিলে প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বারবার তাগিদ দেয়া হলেও অনেকেই তা মানছেন না।