যশোরে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত আজ কাঁচাবাজার মাছ বাজার স্থানান্তর হচ্ছে দ্রুত চালু হবে আইসিইউ

0

বিএম আসাদ ॥ যশোরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে আজ থেকে শহরের কাঁচাবাজার ও মাছের বাজার পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে।
অপরদিকে, করোনায় আক্রান্তরা যাতে তাদের চিকিৎসা পান সে জন্য দ্রুত আইসিইউ চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল দুপুরে যশোর সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
দুপুর ১২টার দিকে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তজিমুল ইসলাম খান সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় করোনা কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার, এডিএম মো. সাইমুজ্জামান পৌর মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতেই সিভিল সার্জন শেখ আবু শহীন যশোরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। যশোরে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, মৃত্যু পরিস্থিতি এড়াতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানা, সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক ব্যবহারের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। হাসপাতালে ওষুধের সংকট ও কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় আইসিইউ চালু করার বিষয়েও কথা বলেন। পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার সভায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আইসিইউ চালু করার জন্য তিনি মনিটর ৪টি ডাইনফিউশন মেশিন নিজ তহবিল থেকে কিনে দেয়ার প্রস্তাব করেন। একই সাথে ভেন্টিলেটরসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনে ১১টির মধ্যে ৩টি আইসিইউ বেড চালু করার পরামর্শ দেন। সভায় ওষুধের সংকট এড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া, করোনা টিকার ১ম ডোজ গ্রহণকারীদের ২য় ডোজ দেয়ার সময় বিড়ম্বনা কমানো, স্বাস্থ্যবিধি ও কঠোর লকডাউন মেনে চলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জেলা প্রশাসক আজ রোববার হতে লকডাউন আরও জোরদার করার কথা বলেন। সবচেয়ে করোনা সংক্রমণ এলাকা যশোর পৌরসভা এবং সদর উপজেলা বিশেষ এলাকা চিহ্নিত করে লকডাউন কঠোর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই সাথে ব্যবসায়িক ঘিঞ্জি এলাকা যশোর বড় বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বাজার বিন্যাসের পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এইচএমএম রোডের দু’পাশে কাঁচা বাজার এবং খালধার রোডের দু’পাশে মাছের বাজার বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন সিকদার, পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ, নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মাহমুদুল হাসান ও স্থানীয় কাউন্সিলরগণ কোভিড-১৯ কমিটির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক বড় বাজার এবং ওই রোড পরিদর্শক করেন। আজ ব্যবসায়ীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুপুরের পর থেকে বাজার পুনর্বিন্যাস শুরু হবে। জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যের সমাপ্তি টেনে বলেন, ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা যদি সামাজিক দূরত্ব না মানে তাহলে ব্যবসায়ীদের এক গ্রুপ যশোর টাউন হল মাঠে এবং অন্য গ্রুপকে ডা. আব্দুর রাজ্জাক কলেজ মাঠে স্থানান্তর করা হবে।