দূষণে জর্জরিত মাগুরার ফটকী নদী

0

মাগুরা সংবাদদাতা॥ মাগুরার শালিখা উপজেলার ফটকী নদী ও এর দুই পাড়ে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। এতে পানি যেমন দূষিত হচ্ছে তেমনি আশেপাশের এলাকায় বাড়ছে পরিবেশ দূষণ, ছড়িয়ে পড়ছে রোগব্যাধি। নদী তীরবর্তী উপজেলার আড়পাড়া বাজারের মাংসপট্টি, পোলট্রি মুরগির দোকান এবং কাঁচা সবজির দোকানের বিপুল পরিমাণ আবর্জনা ফেলা হচ্ছে যত্রতত্র। প্রতিদিন খোলা জায়গায় জবাই করা গরু-ছাগল, মুরগির রক্ত, বিষ্ঠা এবং পচা মাছও গড়িয়ে পড়ে নদীতে। পানি দূষণের পাশাপাশি এসব আবর্জনার প্রচণ্ড দুর্গন্ধে বাজারের পরিবেশ হয়ে উঠেছে অস্বাস্থ্যকর। নির্দিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলছেন পরিছন্নকর্মী এবং ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুধু বাজারই নয়। গ্রামের বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য সংগ্রহ করে তা নদীর পানি এবং পাড়ে ফেলা হচ্ছে। পৌরসভা হলেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পৌর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনার অভাব রয়েছে। এ বিষয়ে ‘ফটকী বাচাঁও, নদী বাচাঁও’ আন্দোলনের নেতা ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, ‘বাজারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় সাধারণ মানুষ অসচেতনভাবেই যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলছে। পরবর্তীতে সেই আবর্জনা সংগ্রহ করে ফটকী ও চিত্রা নদীর পাড় এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফেলা হচ্ছে।’ আড়পাড়া বাজারের হাট মালিক সমিতির সভাপতি মো. শহিদুজ্জামান শহিদ জানান, ‘পশুর হাটের জায়গাটিও ভরে আছে আবর্জনায়। নির্ধারিত স্থান না থাকায় বাধ্য হয়ে খোলা জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাজারের অধিকাংশ আবর্জনা এনে এই খোলা জায়গায় ফেলা হয়। এখান থেকেই সৃষ্টি হয় বিকট দুর্গন্ধ। ভোগান্তিতে পড়ে যাতায়াতকারীরা। প্রায় সময়ই দেখা যায় লোকজন নাকে-মুখে রুমাল চেপে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন।’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গোলাম মো. বাতেন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে বাজার কমিটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এরপরেও যদি নদীতে আবর্জনা ফেলা হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’