করোনায় মানসিক সমস্যায় ভুগছেন ৪০ শতাংশ কানাডিয়ান

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ মহামারি করোনাভাইরাসের শুরুর দিকে কানাডিয়ানদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপনের সমস্যা না হলেও ধীরে ধীরে এর নেতিবাচক প্রতিফলন ঘটতে শুরু করে। বিশেষ করে ঘরবন্দি কানাডিয়ানরা কর্মহীন থাকায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। গবেষকরা বলছেন— করোনাকালীন সময়ে কানাডায় কমপক্ষে ৪০ শতাংশ নাগরিক মানসিক স্বাস্থ্য, আসক্তি বা অ্যালকোহলজনিত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। ইপসসের জরিপ অনুযায়ী মহামারিকালে কর্মসংস্থান হারানো, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধের ফলে কানাডিয়ানদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মহামারি শুরুর আগের তুলনায় এখন কানাডিয়ানদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ। এতে অ্যালকোহলে ব্যয় বেড়েছে। সমীক্ষায় প্রতি পাঁচজনে দু’জন কানাডিয়ান জানিয়েছেন— করোনাকালে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য মহামারি শুরুর আগের চেয়ে খারাপ। মানসিক বিষন্নতা এড়াতে অ্যালকোহলের ব্যয় বেড়েছে। অন্যদিকে বাচ্চাদের পড়ালেখা কেবল নয়, সুস্থ জীবনযাপনের জন্য ইনপার্সন ক্লাসে (হাইস্কুল এবং ইলিমেন্টারি স্কুল) বিকল্প কিছু নেই। বাচ্চাদের জন্য ইনপার্সন ক্লাস এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ যে যখন আর কোনো উপায় নেই কেবল তখনি ক্লাস বন্ধের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া উচিত। কানাডার অন্যতম প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র সিক কিডস হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল পুরো প্রভিন্সের বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপ করে তৈরি করা প্রতিবেদনে এই মতামত দিয়েছে। বিশেষজ্ঞ প্যানেল বলেছে, ব্যাপক টেস্টিং সুবিধা নিশ্চিত করা সাপেক্ষে স্কুলগুলো খুলে দেয়ার পক্ষে তারা। স্কুল খুলে দেয়ার পর বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সংক্রমিত হওয়ার তথ্য থাকলেও সিক কিড হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন— কমিউনিটিতে যে পরিমাণ সংক্রমণ ঘটেছে, সেটি বিচেনায় নিলে স্কুলগুলোর অবস্থা খুবই ভালো ছিল। বিশেষজ্ঞরা স্কুল বন্ধ রাখার কারণে ছেলে-মেয়েদের শরীর এবং মনে যে প্রতিক্রিয়া হচ্ছে সেটি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। কানাডায় ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন করোনার থাবা শুধু অর্থনীতিই নয়, মানুষের মনের অবস্থাকেও ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করেছে। কানাডিয়ানরা আগে কখনও এ ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়নি। তবে সাময়িক অবস্থায় ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।