সুন্দরবনকে টেলিটক নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হচ্ছে : উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার

0

মোংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ॥ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেছেন, সুন্দরবনের সব জায়গায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। পুরো বনজুড়ে টেলিটক নেটওয়ার্ক সেবা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া জোয়ার-ভাটায় বনের অভ্যন্তরের পযর্টন এলাকার রাস্তাঘাট ও স্থাপনা তলিয়ে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। সেগুলো সংরক্ষণের জন্য প্রায় ২৭ কোটি টাকার ইকোট্যুরিজম প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আর যারা সুন্দরবনের ওপর জীবিকা নির্বাহ করে তাদের জন্য আগামী বছরের প্রথম দিক থেকে ভাসমান হাসপাতাল সুুবিধা দেয়া হবে। সুন্দরবন ও সাগরে যাওয়া প্রত্যেক জলযানে একটি করে ডিভাইস দেয়া হবে, যাতে দুযোর্গের সময় পথ ভুলে তারা হারিয়ে না যায়। এছাড়া সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্প আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন হয়ে যাবে। যার ফলে সুন্দরবন সুরক্ষায় বড় ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা সহজ হবে। এ প্রকল্পের বাইরে বনের প্রত্যেকটি চরে বন নির্ভরশীলদের এবং বন্যপ্রাণীর সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে মিষ্টি পানির পুকুর খনন করা হচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে মোংলার শেহলাবুনিয়ার সেন্ট পলস হলরুমে আয়োজিত এক নাগরিক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। যাকে নিয়ে এই শোকসভা তাকে উদ্দেশ্য করেই উপমন্ত্রী আরও বলেন, ড. হিমেল বরকত তার লেখনির মাধ্যমে সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। তাই তিনি যুগ যুগ ধরে আমাদের মাঝে অমর হয়ে থাকবেন। হিমেল বরকত নাগরিক শোকসভা কমিটি আয়োজিত শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওালাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সুনীল কুমার বিশ্বাস, নাগরিক শোকসভা কমিটির আহ্বায়ক মোংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ার, সেন্ট পল্স উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ফ্রান্সিস সুদান হালদার প্রমুখ। উল্লেখ্য, কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ছোট ভাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, কবি ও গবেষক ড. হিমেল বরকত সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা যান। এরপর তাকে মোংলার মিঠাখালীতে নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। শুক্রবার বিকেলে তারই শোকসভার আয়োজন করে হিমেল বরকত নাগরিক শোকসভা কমিটি।