লালদিঘি তুমি কার

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ লালদীঘি তুমি কার ? অবৈধ দখলদারদের আধিপত্য এমন প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে মুখে। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে কয়েক বছর আগে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে লালদীঘিতে মঞ্চ ও ফুটপাত নির্মাণ করা হলেও তার সুবিধা ভোগ করতে পারছে না তারা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা বিসর্জন ছাড়া বারো মাস এটি বখাটে ও নানা শ্রেণি পেশার মানুষের দখলে থাকছে। এ নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের কোন মাথাব্যথা নেই। কর্মব্যস্ত মানুষের অবসর যাপন, বিনোদন ও নিরাপদে হাঁটাহাঁটি করার জন্যে যশোর পৌরসভার ঐতিহ্যবাহী লালদীঘিকে দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নেন সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম। তারই অংশ হিসেবে নির্মাণ করা হয় মঞ্চ ও ফুটপাত। লাগানো হয় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। এর কিছুই এখন সাধারণ মানুষের জন্যে উন্মুক্ত নেই। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ দখল করে নিয়েছে ফুটপাত এবং অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। লালদীঘির একটি অংশ ভরাট করে গত কয়েকমাস যাবত পৌরসভা একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করায় লালদীঘি কার্যত অরক্ষিত হয়ে পড়ে।


সরেজমিনে দেখা গেছে, লালদিঘির পূর্বপাশের ফুটপাত দখল করে আছে কয়েকটি চায়ের দোকান ও কফি হাউস। তারা চেয়ার টেবিল ও বেঞ্চ পেতে সেখানে ব্যবসা করে যাচ্ছে। দক্ষিণ পাশে বসেছে কয়েকটি দোকান। ফুটপাতের যে অংশ ফাঁকা থাকে সেটি দখল করে নেয় মাইক্রোবাস প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন ধরনের হালকা যানবাহন। প্রায় সারাদিন এসব গাড়ি লালদীঘির ফুটপাতে অবস্থান করতে দেখা যায়। সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ফুটপাত থাকে দিন মজুরদের দখলে। বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রম বিক্রি করতে আসা লোকজন এখানে অপেক্ষা করে। এসব নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অবাধে ফুটপাত দখল বাণিজ্য করে। এছাড়াও মঞ্চে ও বেঞ্চে প্রায় সারাক্ষণই আড্ডা দেয় বখাটে তরুণ ও যুবক-যুবতীরা। এসব নানা শ্রেণি- পেশার মানুষ অবাধে লালদীঘির উন্মুক্ত জায়গা দখল ও বাণিজ্য করে গেলেও পৌর কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা পরিলক্ষিত হয় না। উল্টো লালদিঘির অংশ বিশেষ ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে পৌরসভা। প্রায় এক বছর যাবত এ কাজ চলায় ইট, বালি, পাথর, রড সিমেন্টে আরও সংকুচিত হয়ে পড়েছে লালদীঘি। বিঘিœত হচ্ছে সাধারণ চলাচল। স্বাভাবিকভাবেই ঐতিহ্যবাহী এই স্থানটি নিয়ে মানুষ প্রশ্ন তুলছে লালদীঘি তুমি কার ? দখলদাররা আর কতদিন মানুষের মুক্ত পরিবেশে চলাচলের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে রাখবে ? এ ব্যাপারে পৌরসভার সচিব আজমল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখছি। ঘটনা সত্য হলে ত্বরিৎ পদক্ষেপ নেয়া হবে।