মনিরামপুরে সোনালী জাতের মুরগি বাণিজ্যিকভাবে চাষে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ যুবক

0

ওসমান গণি, রাজগঞ্জ (যশোর) থেকে ঃ মনিরামপুর উপজেলায় সোনালী জাতের মুরগি বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করে লাভের পরিবর্তে লোকসান হয়ে আর্থিকভাবে তিগ্রস্থ হয়েছেন আবুল হোসেন নামের এক যুবক। এ উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের রামনাথপুর গ্রামের মৃত শরিতুল্ল্যাহ গাজীর পুত্র সাবেক ইউ.পি সদস্য আবুল হোসেন নিজ বাড়ীতে দেড় ল টাকা খরচ করে দুইটি খামার ঘর তৈরি করেন। গত ৭বছর ধরে খামার দুইটিতে সোনালী জাতের মুরগির চাষ করে আসছেন। প্রথম বছর মুরগি বিক্রি করে কিছু লাভের মুখ দেখেছেন। তার পর থেকে লাভের পরিবর্তে প্রতি বছর লোকসান নিয়ে বর্তমান ২ল টাকা মহাজনের নিকট দেনা হয়ে আর্থিকভাবে তিগ্রস্থ হয়েছেন বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় মুরগি চাষী আবুল হোসেনের বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মুরগীর খামার ২টি চারিদিক দিয়ে তারের নেট দ্বারা ঘেরা। খামার ২টিতে মুরগী ভর্তি রয়েছে। ঐ খামারে ১২শত সোনালী জাতের মুরগি আছে। কথা হয় মুরগী চাষী আবুল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, ২০১৩সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে ২টি খামারে ১২শত সোনালী জাতের মুরগি চাষ শুরু করেন। প্রথম বছর ৫সেটে ৫০হাজার টাকা লাভ করেন। তারপর থেকে লাভের আশায় প্রতি বছর এ মুরগি চাষ করে লোকসান হচ্ছে। কারণ হিসাবে তিনি জানান, বাচ্চা, খাদ্য ও বিভিন্ন রোগের ঔষধের মূল্য বৃদ্ধি ও দরপতনের কারনে লোকসান হচ্ছে। এছাড়া ৬০দিন পালন করার পর বাজার দর পতন থাকায় বাধ্য হয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাছাড়া গত বছর আম্ফান ঝড়ে খামার ২টি ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হওয়ার পর ৬শত মুরগি মারা যায়। ঐ সেটে তিনি অধিকভাবে আর্থিক তিগ্রস্থ হয়েছেন। বর্তমানে খামার ২টিতে যে ১২শত মুরগি আছে ঐ মুরগিগুলো ৬০দিন পালন করে মোট ১ল ৬৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। বর্তমানে বাজার দর পতনের কারনে ১শত ৫০টাকা পাইকারী বিক্রি হচ্ছে। নিুমুখী এ দরে বিক্রি করলে ২৫থেকে ৩০ হাজার টাকা লোকসান হবে। এভাবে প্রতি সেটে লোকসান নিয়ে মহাজনের নিকট তিনি ২ল টাকা ঋণ হয়েছেন। উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবুজর সিদ্দিকী জানান, বর্তমানে খামারিদের মুরগি পালন করার জন্য উন্নত কোন প্রশিনের কোন ব্যবস্থা নাই তাদের অধিদপ্তর থেকে।