মাস্ক যখন ফ্যাশন স্টেটমেন্ট

0
করোনা থেকে বাঁচতে মাস্ক আবশ্যক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এমনই। দীর্ঘদিন লকডাউন শেষে সবাই ফিরতে শুরু করেছে কাজে। ফলে মাস্ক এখন পরিণত হয়েছে নিত্য ব্যবহার্য অনুসঙ্গে। আন্তর্জাতিক ফ্যাশন অঙ্গনে রীতিমত গবেষণা শুরু হয়েছে মাস্ক নিয়ে। নানা ধরনের নিরীক্ষার হাত ধরে প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গটিতে লাগতে শুরু করেছে ফ্যাশনের রঙ। ফ্লোরাল, প্রিন্টের মাস্কের কদর যেমন বেড়েছে, তেমনি এলইডি লাইটের নকশাও উঠে আসছে মাস্কে।এলইডি লাইটের নকশা মাস্কেএলইডি লাইটের নকশা যখন মাস্কে
গাউন এলইডি লাইটে সাজিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল লুমেন কটিউর প্রতিষ্ঠানটি। এবার তারা নিয়ে এসেছে এলইডি ম্যাট্রিক্স ফেস মাস্ক। এতে রয়েছে পাতলা এলএডি ম্যাট্রিক্স স্ক্রিন যেখানে অ্যাপ ব্যবহার করে পছন্দের ভয়েস ইনপুট দেওয়া যাবে বা আঁকাআঁকি করা যাবে। লিখে নেওয়া যাবে টেক্সটও। এতে রয়েছে ব্যাটারি যা চার্জ করে নিতে হয় ব্যবহারের আগে। পরিষ্কার করার সময় এগুলো সবই খুলে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।
মাস্ক নিয়ে নিরীক্ষা
আমেরিকার বোস্টন ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছে নিরীক্ষাধর্মী কিছু মাস্কের ছবি। এগুলো একটি প্রতিযোগিতার জন্য কিছু স্থানীয় ডিজাইনারদের নকশা করা। এগুলোর কোনোটাই উঠে এসেছে সুঁই-সুতার কাজ, কোনোটা আবার সেজেছে অ্যাপ্লিকের ছোঁয়ায়।    শিশুদের জন্য রঙিন মাস্ক
শিশুদের ব্যবহার উপযোগী চমৎকার কিছু মাস্কের কথা জানাচ্ছে লস অ্যাঞ্জেলস ম্যাগাজিন। বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স, কার্টুন ও প্রাণীর ছবি সম্বলিত মাস্ক বাজারে আনে ইতালিয়ান এক ডিজাইন হাউজ। প্রিন্টের মাস্ক
বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন হাউজ জনি ওয়াজ বাজারে এনেছে প্রিন্টের মাস্ক। এগুলো একটি কিনলে আরেকটি বিনামূল্যে প্রদান করা হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের। ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান লা সুপার্ব প্রাণী ও ফুলের নকশা তুলে এনেছে মাস্কে।  লম্বা ফিতাওয়ালা রঙিন মাস্ক
নিউ ইয়র্কের ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘কোলিনা স্রাদা’ লম্বা ফিতাওয়ালা মাস্ক নিয়ে এসেছে বাজারে। এগুলো টেনে ইচ্ছে মতো বেঁধে নেওয়া যায় মাথা বা কানের পেছনে। মাস্কগুলোও চমৎকার রঙিন। কারুকার্য করা মাস্ক
চুমকি, পুঁতি কিংবা পাথর বসানো মাস্কের প্রচলন নতুন নয়। কেবল করোনাভাইরাসের কারণে নয়, অনেক দেশের মানুষই দূষণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে মাস্ক পরে আসছে বহু আগে থেকে।  চীনা ডিজাইনাই মাসা মা ২০১৫ সালে প্যারিস ফ্যাশন উইক উইকের জন্য নকশা করেছিলেন পাথর বসানো মাস্ক। এছাড়া ২০১৬ সালে ভারতীয় ডিজাইনার মনিষ অরোরা বানিয়েছিলেন এমন মাস্ক।