সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে মা কুমির পিলপিলের ডিমে ৪টি ছানা ফুঁটেছে

0

মোংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা॥ সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে মা কুমির পিলপিল’র ডিমে ৪টি ছানা ফুঁটেছে। শনিবার সকালে ইনকিউবেটরে রাখা ডিম থেকে এ ছানা ভুমিষ্ঠ হয়। গত ১২ জুন প্রজনন কেন্দ্রে মা কুমির পিলপিল ৪৪ ডিম পাড়ে। আর বাঁচ্চা ফোঁটাতে এ ডিম গুলো প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হয়। ডিম দেয়ার প্রায় তিন মাস পর ইনকিউবেটরে ৪টি বাঁচ্চা পাওয়া যায় । তবে ৪০টি ডিম নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আর কোন বাঁচ্চা হওয়ার সম্ভবনা নেই বলে জানান প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্টার হাওলাদার আজাদ কবির। এদিকে গত ২৯ মে কেন্দ্রের অপর মা কুমির জুলিয়েট ৫২পি ডিম পাড়ে। পরে বাঁচ্চা ফোঁটাতে এ ডিম গুলো প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হলেও সব ডিম নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তা থেকে একটিও বাচ্চা পাওয়া যায়নি।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, ২০০২ সালে সুন্দরবনে দেশের একমাত্র সরকারি এ কুমির প্রজনন কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়। শুরুতে কুমিরের প্রজনন নিয়ে বন বিভাগ আশার আলো দেখলেও ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এখানে থাকা মা কুমির ডিম দিলেও তা থেকে কোন বাঁচ্চা ফোটেনি। ২০২০ সালে পিলপিল ৪৪টি আর জুলিয়েট ৫২টি ডিম দেয়। এর মধ্যে পিলপিলের ৪টি বাচ্চা হলেও জুলিয়েটের ডিম থেকে কোনো বাচ্চা আসেনি। গত ২০১৭, ১৮ ও ১৯ সালে পিলপিল ও জুলিয়েটের ডিম একটিও বাচ্চা ফুটেনি। তবে এ কারণে তিনি যথা সময়ে সঠিক তাপমাত্রা না পাওয়া ও কেন্দ্রের ইনকিউবেটরের ত্রুটিকেই দায়ী করছেন। এবার এ কেন্দ্রে নতুন অতিথি হিসেবে আসা ৪টি ছানা, ও দুটি মা ও ৪টি পুরুষসহ ছোট বড় মিলিয়ে ১৯৬টি কুমির রয়েছে।